মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই আট সোমালি জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমালিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গ্যারোই অনলাইন।
পান্টল্যান্ড পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন বলছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে আসার পরপরই আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে কিনা, সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনমাস ধরে সোমালিয়া জলদস্যুতার ইস্যু নিয়ে রীতিমতো সংগ্রাম করছে। কারণ এই দস্যুরা আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। সোমালিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ দিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আল শাবাব।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে গ্যারোই অনলাইন জানিয়েছে, এখন জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভীষণ তৎপর দেশটির পুলিশ বাহিনী। বিশেষ করে পান্টল্যান্ড উপকূলজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এ কাজে সাহায্য করছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও।
পান্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারোই’কে বলেন, জলদস্যুদের চাহিদামতো মুক্তিপণ দেওয়া হলে তা নতুন আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্তি দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ মুক্তিপণের অঙ্কের বিষয়ে কোনও তথ্য স্পষ্ট করেনি।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। সোমালিয়া উপকূল পাড়ি দেওয়ার সময় ১২ মার্চ দস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
এরপর নাবিকদের নিরাপদ এবং অক্ষত অবস্থায় ছাড়িয়ে নিতে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ দেনদরবার শুরু করে। ৩১ দিন ধরে দরকষাকষির পর ৩২তম দিনে নাবিকরা মুক্তি পেল।