বিক্ষুদ্ধ জনতার ক্ষোভ এড়াতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের আদালতে আনা হয় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে। এর আগে ভোর থেকেই আদালত ঘিরে নেওয়া হয় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে আদালত চত্বরে। পুলিশ ভ্যানে করে ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালত চত্বরে নিতেই একদল লোক তাকে মারতে তেড়ে যায়। পুলিশের বাধায় তিনি রক্ষা পান।
এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতাহাতি হয়। তারা পাঁচবারের এই সংসদ সদস্যের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়; প্রিজন ভ্যানে ডিমও ছোড়ে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান দলের অনেক নেতাকর্মী। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীও ছিলেন আত্মগোপনে।
বিজিবি জানিয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করা হয়। তারা অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অফিস ভাঙচুরসহসহ পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে।
পাঁচ মামলার শুনানির দিন ছিল মঙ্গলবার। শুনানি শেষে এক মামলায় তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন।
সেই সঙ্গে ফজলে করিমের আইনজীবীর আবেদনে আদালত তার চিকিৎসা ও কারাবিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, রাউজান থানায় মুনিরীয়া যুব তাবলিগ কমিটির কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে আরেক মামলায় তাকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন শুনানি শেষে ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন এবং দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চট্টগ্রাম-৬ আসনে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য হন ফজলে করিম চৌধুরী।