দেশের অর্থনীতি বড় ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের মধ্যেই আরেকটি বাজেট দিতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।
অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করছেন, দেশের চলমান অর্থনীতির সংকটের জন্য কোভিড মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যতটা না দায়ী, তার থেকে বেশি দায়ী সরকারের দুর্বল নীতি, দুর্বল শাসন কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতা। এসব কারণে দিন যত যাচ্ছে, সংকট ততই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই নতুন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
সকাল সন্ধ্যাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা দেশের অর্থনীতির পর্যালোচনা তুলে ধরে আসন্ন বাজেটে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা উচিৎ, সেসব বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেছেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “বেশকিছু কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চাপে আছে; বলা যায়, বড় ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতি, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, বিনিয়োগসহ প্রধান সূচকগুলোর সবগুলোই এখন খারাপের দিকে। এ অবস্থায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারই বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা বাজেটে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
“মূল্যস্ফীতিতে জর্জরিত সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে নতুন বাজেটে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার দিকে নজর দিতে হবে।”
আগামী ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। আগামী ৩০ জুন সেই বাজেট পাস হবে। এটি হবে মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। আর দেশের ৫৩তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম বাজেট।
২০০৭-০৮ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ছিলেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। নতুন বাজেট কেমন দেখতে চান—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট এমন একসময় আসছে যখন দেশের অর্থনীতি বহু সংকটে নিমজ্জিত। সামষ্টিক অর্থনীতি রয়েছে চাপে, রিজার্ভ কমে সরকারের ঘাড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে, রেমিটেন্স বাড়লেও রপ্তানি আয় কমছে। ডলারের বাজারে তো যাচ্ছেতাই অবস্থা।
“অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ব্যাংক ও আর্থিক খাতেও চলছে দুর্দশা। এছাড়া দাতা সংস্থার ঋণ ও সহায়তা প্রাপ্তিও সন্তোষজনক নয়। ডলার সংকটের কারণে সরকার প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই আমদানি করতে পারছে না, বা আমদানির বিল পরিশোধ করতে পারছে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগেও চলছে খরা, হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থান।”
এই পরিস্থিতিতে নতুন বাজেটকে সামনে রেখে সরকারকে সাত-পাঁচ ভেবে কাজ করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সংকটকালে সরকার নতুন বাজেটে কোন দিকগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়, সেটি দেখার বিষয়। তবে আমি মনে করি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সে দিকটিতে। কারণ, বিগত দুই-তিন বছরে দেশে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম এতটাই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে যে, দেশের সাধারণ মানুষের এখন তিন বেলার আহার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা করে জানিয়েছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যাচ্ছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেশি। বিআইডিএসের মতো আমিও মনে করি যে, বিবিএস মূল্যস্ফীতির যে তথ্য দিচ্ছে, বাস্তবে মূল্যস্ফীতির হার তার চেয়ে বেশি। সুতরাং নতুন বাজেটে কীভাবে সাধারণ মানুষের ঘাড় থেকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো যায়, সেদিকটিতেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া দরকার। ভোগ্যপণ্যের মূল্য যাতে কমে আসে, সেই মাফিক কর কাঠামো সাজাতে হবে নতুন বাজেটে।”
আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার দিকেও অধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সরকারের সহায়তাভোগী গরিব শ্রেণির মানুষেরও কষ্টের মাত্রা বেড়েছে। বর্তমানে যে হারে সরকারের কাছ থেকে ভাতা পাচ্ছেন গরিব শ্রেণির লোকরা, তা দিয়ে তাদের আর পোষাচ্ছে না। তাই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিসর অনেক বৃদ্ধি করা প্রয়োজন নতুন বাজেটে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট। অপ্রয়োজনীয় সরকারি খরচ কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে।”
এবারের বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী—এ প্রশ্নের উত্তরে ২০০৭-০৮ মেয়াদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুটি বাজেট দেওয়া মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “প্রথম চ্যালেঞ্জ যেটা, সেটা নিয়ে ইতোমধ্যেই আমি বেশ কিছু কথা বলেছি; উচ্চ মূল্যস্ফীতি। অনেক দিন ধরে সরকারি হিসাবেই এটা সাড়ে ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। এ হারে মূল্যস্ফীতি থাকলে বিশেষত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানরত মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তখন সরকারকে বাধ্য হয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বেশি বরাদ্দ দিতে হয়। ফলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক খাতে বরাদ্দ কমে যায়।
“দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো- বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা। ইতোমধ্যে রিজার্ভ উদ্বেগজনক পরিমাণে কমে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। কারণ, তখন বিনিয়োগকারীরা ভেবে নেয়, এ দেশ থেকে বিনিয়োগের ফল হিসেবে প্রাপ্য মুনাফা তারা নিতে পারবে না।”
“তৃতীয় হলো- মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের মনে রাখতে হবে, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিকে ওলোটপালট করে দিয়েছে, যার মাশুল সব খাতকেই দিতে হচ্ছে।”
দারিদ্র্য বিমোচনও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটা সময় পর্যন্ত বেশ সাফল্য দেখালেও সাম্প্রতিক সময়ে তা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষত অর্থনীতিতে যে হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেই হারে দারিদ্র্য কমছে না। শহর-গ্রামের উদ্বেগজনক ব্যবধানের পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রামের তুলনায় বরিশাল ও খুলনার মতো এলাকার পিছিয়ে থাকা বা আঞ্চলিক বৈষম্যও চিন্তার বিষয়।”
সবাই বলছে, মূল্যস্ফীতিই বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন প্রধান সমস্যা; এটার লাগাম টেনে ধরতে নতুন বাজেটে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ—এ প্রশ্নের উত্তরে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাজ দেয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কী আমরা সঠিক পদক্ষেপ নেইনি। আমি মনে করি, সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
“বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে একটি আমদানিনির্ভর দেশে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো যেত। তাতে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের দাম কমানোর সম্ভাবনা ছিল। আমাদের আমদানিকৃত পণ্যের বেশির ভাগ হলো কাঁচামাল, মধ্যবর্তী (ইন্টারমিডিয়ারি) পণ্য ও শিল্পের যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ। শুল্ক হ্রাসের সুবিধা নিয়ে এগুলোর আমদানি বাড়লে দেশে উৎপাদন বাড়ত। এতে সরবরাহ বেড়ে পণ্যমূল্য কমে যেত।”
মাইক্রো ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টে বা ব্যষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সবসময়ই কিছু ট্রেড অফ (ভালোর পাশাপাশি কিছু মন্দ ফল) থাকে বলে উল্লেখ করেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন “ট্রেড অফ হলো এক্সচেঞ্জ রেট বা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওপর বেশি আমদানির নেতিবাচক প্রভাব। এমনিতেই আমাদের বিনিময় হার বেশ কিছু দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী। অর্থাৎ টাকার দাম নিম্নমুখী। বেশি আমদানি হলে টাকার মান আরও কমে যায়। এর ফলে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ ইতোমধ্যে ডলার এক লাফে ১১৭ টাকায় উঠেছে। ফলে সরকারকে আমদানিতে শুল্কহার হ্রাসের পাশাপাশি ট্রেড অফ মোকাবিলারও সমন্বিত কার্যক্রম নিতে হবে।
“আরেকটি না বললেই নয়। আমাদের দেশে পণ্যমূল্য অনেকটাই নির্ভর করে ব্যবসায়ীদের উপর। অতি মুনাফার আশায় তারা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। পৃথিবীর কোনও দেশে এমনটা দেখা যায় না। নিছক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করে, তাদের পরামর্শ দিয়ে বা তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে তো এ সমস্যার সমাধান হবে না। পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে যারা কারসাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিলে কোনও কাজ হবে না। এখন তো মাঝে মাঝেই দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নানা কর্তৃপক্ষের অভিযান দেখি। কিন্তু অভিযানের নামে বাস্তবে কী ঘটে, কেউ জানে না।”
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কর্মসংস্থান-সৃজনমূলক উদ্যোগ গ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডলার সংকটের কারণে শিল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। এতে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চরমভাবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থানে এক রকম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনেক শিল্পমালিক ব্যবসা মন্দার কারণে কর্মী ছাঁটাই করছে। ফলে বেকারত্বের হার বাড়ছে। এ জন্য বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান- দুই জায়গাতেই নজর দিতে হবে।
“আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার তুলনায় বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক কম। আবার জিডিপির তুলনায় দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের হারও সুখকর নয়। এভাবে আমরা এক ধরনের বিনিয়োগ ফাঁদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। এবার বাজেট ছোট হলেও কর্মসংস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতকে কীভাবে উৎসাহিত করতে পারি, বিভিন্ন প্রণোদনা দিতে পারি, তা দেখতে হবে। এছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ, অবকাঠামো বা অর্থায়নের অসুবিধা দূর করতে হবে।”
ব্যাংক, আর্থিক খাত ও পুঁজিবাজারের দিকেও সরকারকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, “ব্যাংক খাত এখন খাদের কিনারে। বলা যায়, ব্যাংক খাত এক রকম ঠেকনা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে ব্যাংক খাত বিপর্যস্ত। এ জন্য আগামী বাজেটে ব্যাংক খাতের সংস্কারের বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হবে।
“আমি দেখার অপেক্ষায় থাকব, নতুন বাজেটে সরকার ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কারের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়; খেলাপি ঋণ কমাতে কী জোরাল ঘোষণা দেওয়া হয়।”