ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে এসেছে।
মঙ্গলবার থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি এই পেঁয়াজ বিক্রি করবে।
সোমবার রাতে টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করা ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের মধ্যে প্রথম লটে (চালান) ১ হাজার ৬৫০ টন রেলযোগে দেশে এসে পৌঁছেছে।
“এই পেঁয়াজ ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরে খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে। বাজার দর বিবেচনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর পূর্ব নির্ধারিত ৫০ টাকা থেকে ১০ টাকা হ্রাস করে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
টিসিবির খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার বাজারগুলোয় প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে।
সে হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশ সাশ্রয়ী দামেই কিনতে পারবেন ক্রেতারা। টিসিবির কার্ডধারী পরিবারগুলো তো পাবেই, বাকিরা মাথাপিছু দুই কেজি করে এই পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের দিল্লির ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড এই পেঁয়াজের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলা থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের চালানটি গত রবিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছে।
ভারতীয় রেলওয়ের ৪২টি ওয়াগন ভর্তি পেঁয়াজের চালান দর্শনায় পৌঁছানোর পর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বা কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম শেষ করে সেদিন রাতেই সিরাজগঞ্জ যায় এবং সেখানেই এসব খালাস করা হয়।
সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। দেশে যে পেঁয়াজ এসেছে, তা সেই আমদানির প্রথম চালান। প্রতি টন ৪০০ ডলার দরে কেনা পেঁয়াজের মোট ক্রয়মূল্য ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
