আফগানিস্তানের ক্রিকেট উৎসব থামছে না। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পর এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল- স্বপ্নের মতো কাটানো এই সময়ের মধ্যে নতুন আরেকটি প্রাপ্তি যোগ হলো। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ইতিহাস গড়েছে আফগানরা।
শারজার প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। প্রোটিয়াদের মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে পেয়েছে ৬ উইকেটের জয়। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ১১ মাসে সাদা বলের ক্রিকেটে ষষ্ঠ দল হিসেবে আফগানদের সামনে ধরাশয়ী প্রোটিয়ারা।
ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছে গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের তিন দলকে হারিয়ে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফগানিস্তান। পরের দুটি দল, অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যাতে প্রথমবারের মতো কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার ইতিহাস গড়ে রশিদ খানরা।
আফগানদের সেই দাপট এখনও চলছে। এবার ওয়ানডেতে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যেকোনও ফরম্যাটে এটাই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম জয় তাদের। মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বকাপের বাইরে এবারই প্রথম কোনও ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানরা। আর প্রথমবারেই বাজিমাত।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনও সুযোগই দেয়নি আফগানিস্তান। ফজলহক ফারুকী ও এএম ঘাজানফারের বোলিংয়ের সামনে ১০ ওভারে মাত্র ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল প্রোটিয়ারা। উঁকি দিচ্ছিল ওয়ানডেতে তাদের ৬৯ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। তবে অষ্টম উইকেটে উইয়ান মুল্ডার ও বিয়র্ন ফরচুনের ৩৯ রানের জুটিতে ওই লজ্জায় পড়তে হয়নি। ৩৩.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হওয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ফারুকী ৭ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। স্পিনার ঘাজানফার ১০ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
১০৭ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গুলবাদিন নাইব। অপরাজিত ২৫ রান করে খেলা শেষ করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিয়র্ন ফরচুন ৯ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
