কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ উল্টে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় প্রাণহানি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ ফ্লিন্ট।
তিনি বলেছেন, “বিমান দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে কয়েকজন আঘাত পেয়েছেন।”
টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ৭টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহর থেকে অন্টারিওর মিসিসুগা শহরে টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে নামার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় ডেলটা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি। এতে ৮০ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭৬ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু।
এই দুর্ঘটনায় একটি শিশু, চল্লিশোর্ধ এক নারী ও ষাটোর্ধ্ব এক পুরুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাদেরসহ আরও ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরের বরফে ঢাকা টারমাকে একটি উড়োজাহাজ উল্টে পড়ে আছে। এটির একটি ডানা নেই।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ ফ্লিন্ট জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ২২ জন কানাডার নাগরিক। বাকিরা বিভিন্ন দেশের।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে সময়মতো উড়োজাহাজ উড়তে বা নামতে পারছিল না।
গত বুধবার ও এর চারদিন পর রবিবার তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অন্টারিওর মিসিসুগা শহর। এতে গোটা শহর বরফের চাদরে ঢেকে যায়, যা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার পুরু ছিল। সোমবার ভোরের দিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া ও প্রবল বাতাস ধেয়ে আসার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার সময় মিসিসুগা শহরে অল্প তুষারপাত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে সিবিএস।
এনিয়ে গত এক মাসে উত্তর আমেরিকায় চারটি বিমান দুর্ঘটনা হলো। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে ওয়াশিংটন ডিসিতে।
গত ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান বিমানবন্দরের কাছে উড়ন্ত অবস্থায় একটি যাত্রীবাহী বিমান ও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে ৬৭ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারায়।