Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

উত্তর-পশ্চিম রাখাইনের সব শহর আরাকান আর্মির দখলে

আরাকান আর্মির যোদ্ধারা গত ১১ আগস্ট মংডুর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে। ছবি: দ্য ইরাবতী।
আরাকান আর্মির যোদ্ধারা গত ১১ আগস্ট মংডুর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে। ছবি: দ্য ইরাবতী।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ শহর মংডুও দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)।

ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরটির প্রায় সবগুলো ওয়ার্ড এখন এএ’র নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ফলে ওই অঞ্চলের সবগুলো শহর এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।

রাখাইনের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এএ গত জুনে মংডু শহরাঞ্চলে জান্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। এর আগে মার্চ ও মে মাসে তারা ওই অঞ্চলের রাথাইডং এবং বুথিডং শহর দুটিও দখলে করে।

আরাকান আর্মি গত ৪ আগস্ট মংডুর মূল শহর এবং এর আশেপাশের জান্তা অবস্থানগুলোতে আক্রমণ শুরু করে। তার আগে জুন থেকে তারা মংডু শহরের আশে-পাশের গুরুত্বপূর্ণ জান্তা ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছিল।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ/আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মিসহ (এআরএ) রোহিঙ্গা মুসলিম মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো জান্তার পক্ষে লড়েছিল।

এএ বলেছে, তারা মংডু শহর থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার কর্মী এবং তাদের পরিবারসহ ২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করেছে।

মংডুর একজন বাসিন্দা বলেছেন, “এএ মংডু শহরে আটকে পড়া [জাতিগত] রাখাইন, হিন্দু ও মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার করছে। বলা যায়, এখন এএ শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৪ আগস্ট এএ ড্রোন ব্যবহার করে বোমা হামলা শুরু করার পর শত শত জান্তা সৈন্য শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আরেক বাসিন্দা বলেন, “মংডু শহরের সব জান্তা সৈন্য পালিয়ে গেছে। তবে মুসলিম ওয়ার্ডগুলোতে কিছু আরসা সৈন্য রয়ে গেছে।”

রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট নে সান লুইন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, জান্তা সেনারা মংডু শহর ছেড়ে পালিয়েছে। শুধুমাত্র কিছু পরিবার যারা আহত হয়েছে এবং হাঁটতে পারে না তারা পালাতে পারেনি। আর শহরে আটকে পড়া মুসলিম পরিবারগুলো তাদের বাড়িতে সাদা পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

আরাকান আর্মি বলেছে, তারা গত ১৬ জুন বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল। কিন্তু কেউ কেউ সতর্কতা উপেক্ষা করে থেকে যায়।

জান্তার পক্ষে লড়া আরসা, আরএসও এবং এআরএ-এর সদস্য ও তাদের পরিবার এবং যেসব বেসামরিক ব্যক্তিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য জান্তা আটক করেছিল তারাও শহরে ছিল।

মংডু শহরাঞ্চলের পূর্বে বুথিডং, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে রাথাইডং শহরাঞ্চল এবং উত্তরে বাংলাদেশ।

গত বছরের নভেম্বরে আরাকান আর্মি রাখাইনকে জান্তার শাসনমুক্ত করতে যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকে গত প্রায় ১০ মাসে তারা রাজ্যটির মোট ১৭টি শহরাঞ্চলের ১১টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বর্তমানে রাখাইনের অ্যান এবং থান্ডে শহরাঞ্চলেও জান্তার বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। প্রতিবেশী চিন রাজ্যের পালেতোয়া শহরাঞ্চলটিও তারা দখল করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত