ঠিক করেই ফেলেছিলেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান যে সিনেমার জগতে আর না। ‘লাল সিং চাড্ডা’-ই হতে পারতো তার শেষ সিনেমা ভেঞ্চার। কিন্তু পারেন নি তাদের কারণেই যাদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাওসহ এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, “লাল সিং চাড্ডায় অভিনয় করার আগেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
আমির বলেন, “কোভিড মহামারীর শেষ পর্যায়ে উপলব্ধি হলো, আমার জীবনের অধিকাংশ সময়, সেই ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত, পুরো মনোযোগ সিনেমার পেছনেই দিয়েছি। একসময় মনে হলো আমার সন্তান, ভাইবোন এবং পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারিনি। কিরণ বা রীনার সঙ্গেও যখন সংসার করেছি, তাদেরও যথেষ্ট সময় দিইনি।”
তিনি আরও বলেন, “এসব মনে হলে ভীষণ অপরাধবোধ কাজ করতো, কিছুই ভালো লাগতোনা। গত ৩৫ বছরে বহু সিনেমায় কাজ করেছি। এখন তো পরিবারকে সময় দিতেই পারি।”
‘তারে জমিন পার’ খ্যাত এই অভিনেতা সাক্ষাতকারে বলেন, “ সবকিছু ভেবে আমার পরিবারের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের জানিয়েছি অভিনয় ছাড়তে চাই আর তোমাদের আরও বেশি করে সময় দিতে চাই। সিনেমার প্রতি কোন হতাশা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিইনি।”
তবে তার এই সিদ্ধান্তে নাকি তখন খুব একটা খুশি হতে পারেনি সন্তান ইরা ও জুনায়েদ। আরেকবার ভাবতে বলেছিল তারা।
তার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পুত্র জুনায়েদ কী বলেছিল তাও জানা গেছে আমিরের বরাতে। জুনায়েদ বলেছিল, “তোমাকে কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে? মাঝামাঝি একটা জায়গা তো আছেই সেখানে তুমি নিজেকে খুঁজে পাবে।”
আমির জানান, “সন্তান এবং পরিবারের কথায় তাই অভিনয়েই থেকে গেলাম। সত্যিকারের কোন সিদ্ধান্তে যাইনি। কেউ জানতোও না এই সিদ্ধান্তের কথা। ওটা ছিল নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া।”
জানা গেছে, আমির খানকে তার প্রযোজনায় নির্মিত ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করবেন জেনেলিয়া দেশমুখ এবং দার্শিল সাফারি। ২০০৭ সালের ‘তারে জমিন পার’ সিনেমার এই সিক্যুয়েলটি আসছে ২৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।