কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফরের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। আর যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলেল জন্ম ভারতের গুজরাটে। আজ (রবিবার) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার উদ্বোধনী ম্যাচটা তাই হয়ে উঠেছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াইও।
সেই লড়াইয়ে হাসল যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্বী কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সহ-স্বাগতিকরা ঘোষণা করল নিজেদের আবির্ভাব। শুরুতে ব্যাট করে কানাডা করেছিল ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। জবাবে অ্যারন জোন্স ঝড়ে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় যুক্তরাষ্ট্রের।
এটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে রান তাড়ার রেকর্ডও। আর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে যা ছিল ১৬৯ রানের। বাংলাদেশকে সিরিজ হারানো যুক্তরাষ্ট্র এভাবেই জানান দিল নিজেদের উপস্থিতি।
ম্যাচ সেরা জোন্স খেলেন ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি ১০ ছক্কায় বিধ্বংসী ৯৪ রানের ইনিংস। যুক্তরাষ্ট্রের কোন ব্যাটারের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১০ ছক্কার রেকর্ডটা এখন জোন্সের। আগের ৫ ছক্কার রেকর্ড ছিল গজানন্দন সিংয়ের। ঝড়ো ইনিংসটির পথে ২২ বলে ফিফটি করেছিলেন জোন্স।
১০ ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮১ রান। ম্যাচ জিততে হলে এরপর রান করতে হত ওভার প্রতি ১১.৪০ রেটে। কঠিন সেই কাজটাই করেন অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিস গুস। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ১৩১ রানের জুটি, যা যে কোনও উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সেরা।
ওভারপ্রতি এই জুটি রান তুলেছে ১৪.২৯ রেটে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শতরানের জুটিতে যা দ্রুততম। ৪৬ বলে ৬৫ করে ফেরেন গুস। ৪ ওভারে ৩৪ রানে ১ উইকেট কলিম সানার।
এর আগে কানাডার ৫ উইকেটে ১৯৪ রান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় সেরা স্কোর। বিশ্বকাপের আগে সবশেষ খেলা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করা ১৯৯ রান যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাদের সেরা।
১৯৪ রান আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির কোনও সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ। ২০১৪ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ৪ উইকেটে ১৯৩ ছিল এতদিনের সেরা।
অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল ৫.২ ওভারে গড়েছিলেন ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৬ বলে ২৩ করা জনসনকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন হারমিত সিং। তবে অপর ওপেনার নবনীত থামেন ৪৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৬১ রানে। কানাডার ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর এটাই।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আলী খান, হারমিত সিং ও কোরে অ্যান্ডারসন। তবে দিন শেষে সবটুকু আলো জোন্সের ওপর।