আত্মপ্রকাশের চার বছর পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেল জামায়েত ইসলামীর ‘সংস্কারপন্থীদের’ দল আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি)। দলটির প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে ‘ঈগল’।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব শফিউল আজম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুযায়ী পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টিকে নির্বাচন কমিশনের দল হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর ‘সংস্কারপন্থিরা’ নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের এক বছর পর ২০২০ সালে এবি পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন।
তখন দলটির আহ্বায়ক করা হয় জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করা নেতা এএফএম সোলায়মান চৌধুরীকে; সদস্য সচিব করা হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে।
২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত সরকারের সময় দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে শামসুল হুদা কমিশন। পরে বিভিন্ন কমিশন বিধান অনুযায়ী ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়ে এসেছে।
বর্তমানে এবি পার্টিসহ দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৫টি। বিভিন্ন সময়ে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। না হলে সে সংখ্যা দাঁড়াতো ৫০ এ।
এ পর্যন্ত যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে সেগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
নিবন্ধন পাওয়ার দৌড়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে এক ডজন দল। সেসব দলের মধ্যে ছিল এবি পার্টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন মেলেনি তাদের। ভোটের ৭ মাস এবং ক্ষমতার পালাবদলের পর নিবন্ধন পেল দলটি।
সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে আবেদন আহ্বান করার বিধান আছে।
গত বছরের ২৬ মে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বর্তমান কমিশন। পরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে সময় দুই মাস বাড়ানো হয়।
ইসির নিবন্ধন পেতে এবার ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করে। তিন দফার যাচাই-বাছাই শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের তালিকা প্রকাশ করে আউয়াল কমিশন।
তখন দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দিয়েছিল আউয়াল কমিশন।