কখনও কখনও মনে হচ্ছিল যেন নব্বইয়ের দশকের আবাহনী ও মোহামেডোনের লড়াই। গ্যালারিতে প্রচন্ড উত্তেজনা। লাল কার্ড। মাঠের মধ্যে স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়ায় সেই উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আবাহনী ও মোহামেডান। যে ম্যাচে ১০ জনের মোহামেডানকে সুযোগ পেয়েও হারাতে পারেনি আবাহনী। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
এই ড্রয়ে লিগ শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগুলো মোহামেডান। আগে থেকেই শীর্ষে থাকা সাদা কালোরা ১২ ম্যাচের পয়েন্ট ৩১। মারুফুল হকের আবাহনী ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
আবাহনী দিনের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো। ৮ মিনিটে রাফায়েল অগাস্তোর ক্রসে সুমন রেজার হেড অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে গেলেও ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি আরিফ হাসান।
একটু পরই মোহামেডানের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনেন মাহবুব আলম। সুমন রেজাকে মুখে আঘাতের কারণে ফাউল করে সারাসরি লালকার্ড দেখেন মাহবুব আলম। এই কাণ্ডে ফুঁসে ওঠে গ্যালারি। মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার সহ পানির বোতল ছুঁড়তে থাকে তারা, ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পর ফের শুরু হয় খেলা।
একটু পর গ্যালারি থেকে মাঠে ফের বোতল ছোঁড়া শুরু হয়, মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা সমর্থকদের শান্ত করতে গ্যালারির কাছে গিয়ে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, কর্মকর্তাদের অনুরোধে পরিস্থিতি শান্ত হলে মিনিট দশেক পর আবার খেলা শুরু হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় আবাহনী ৬৫ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। রাফায়েলের চার্জে বক্সে বল হারান মেহেদী হাসান মিঠু। রাফায়েল বলের নাগাল পাওয়ার আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে শট নেন গোলকিপার সুজন হোসেন, কিন্তু বল চলে যায় মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পায়ে। ফাঁকা পোস্ট পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড।
ছয় মিনিটে পর সুলেমানে দিয়াবাতে ক্রসে মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি মোহামেডানেরও। ৮০ মিনিটে কর্নারে সুমনের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ফিরিয়ে মোহামেডানের ত্রাতা গোলকিপার সুজন। এর একটু পর রাফায়েলের হেড শাকিল আহাদ তপু আটকে দিলে পয়েন্ট ভাগাভাগি নিশ্চিত হয় দুই দলের।