ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্রই ক্রিজের দিকে ছুটে গেল আবাহনীর টিম বয়। ওদিকে প্যাড-গ্লাভস-হেলমেট খুলছিলেন জাকের আলি। নিয়ম হলো ড্রেসিংরুমে এসে ক্রিকেট সরঞ্জামাদি খোলেন ব্যাটাররা। কিন্তু প্রখর রোদের তাপ আর সহ্য হচ্ছিল না জাকেরের। এই গরমে ৯০ বলের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছেন। তাতে ছিল ৬টি ছক্কার মার।
জাকেরের ওই দুর্দান্ত ইনিংসটাই মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর আরও একটি জয় নিশ্চিত করে। ৬ ছক্কার পাশাপাশি ৪টি চারে ৭৮ রান তার। তাতে ৮ উইকেটের জয় আবাহনীর।
ক্রিকেট লিগে শেষ কবে আবাহনীর বিপক্ষে জিতেছিল মোহামেডান? পরিসংখ্যানটা খুঁজেও পাওয়া গেল না। প্রতি বছরই নিয়ম করে এ দুই দলের লড়াই হয় আর তাতে জয়ী হয় আবাহনী। সেই নিয়ম ধরে রেখে আরও একবার জয়ী দল আবাহনী।
আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান করে মোহামেডান। জবাবে আবাহনী ২ উইকেটে ১৯৫ রান করে মাত্র ৩৫ ওভারে।
এবারের লিগে সেরা দলটাই গড়েছে আবাহনী। জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারেই আকাশি-নীল জার্সিতে। তাই আবাহনরি সঙ্গে মোহামেডানের অসম লড়াই হয়ে ওঠে। মোহামেডানেও তারকাদের ভিড় আছে। কিন্তু অফফর্মের কারণে রনি তালুকদার, ইমরুল কায়েসরা ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। মাহমুদউল্লাহ ৫৪ ও আরিফুলের ৩৩ রানে কম পুঁজিতে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকেত বাঁচে মোহামেডান।
বিপরীতে নাঈম শেখ, জাকের আলিরা উজ্জ্বল ছিলেন ব্যাট হাতে। তাই সহজ সংগ্রহ তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি আবাহনীকে। নাঈম শেখ ৬২ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৩ রান করে ফিরলেও জাকের ৯০ বলে ৬ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৮ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৮ বলে ৩৯ রান করেন আফিফ।
এই ম্যাচ জিতে টানা ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট তুললো আবাহনী। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মোহামেডানের ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট। ম্যাচ শেষে আফিফ ও জাকেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছিলেন মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। প্রতি মৌসুমেই আবাহনীর ক্রিকেটারদের সাধুবাদ জানানো ছাড়া এই দ্বৈরথে আর কিছু করার থাকে না তাদের।