Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

স্বাধীনতা দিবসেও ৭১/২৪ নিয়ে বাহাস

স্বাধীনতা দিবসে বুধবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন এনসিপি নেতারা।
স্বাধীনতা দিবসে বুধবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন এনসিপি নেতারা।
[publishpress_authors_box]

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বাহাস হলো রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে।

বুধবার স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর এনিয়ে কথা তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার কথার জবাব দেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অভ্যুত্থানের নেতারা একে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আখ্যা দেওয়ার পর থেকে এনিয়ে আলোচনা চলছে।

মির্জা আব্বাস।

স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর মির্জা আব্বাস এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে কিছু নেই।

“জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে স্বাধীনতার নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকের স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই।”

“যারা বলে, তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে একটু খাটো করতে চায়, অর্থাৎ একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। সুতরাং আমি বলব, তারা যেন এখানেই বিরত থাকে। এই স্বাধীনতা দিবসকে যেন সম্মান জানায় এবং সম্মান করে,” বলেন মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আব্বাস।।

স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদের কাছে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একাত্তরের স্বাধীনতা ও চব্বিশের স্বাধীনতা পরস্পরবিরোধী নয়, আমরা সেই ধারাবাহিকতায় আছি।

“আমরা মনে করি, ৭১ আর ২৪ আলাদা কিছু নয়, বরং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই ৭১ এর যে স্পিরিট, তা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ৭১ এ আমরা যা চেয়েছিলাম, তা ৫৪ বছরে অর্জিত হতে পারেনি বিধায় একটা ফ্যাসিজম ১৫ বছর ধরে চেপে বসেছিল বিধায় একটা গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয়েছে।”

নাহিদ বলেন, “সুতরাং যারা একে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। এবং তারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে, ছাত্র-জনতার বিজয়কে প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। নতুন সময়ের যে বার্তা, তা তারা ধারণ করতে পারছে না।”

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ১৯৪৭ সালে ‘আজাদীর লড়াই’, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতা হিসাবে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যে স্বাধীন, সার্বভৌম, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি রাষ্ট্র চেয়েছিলাম, তার একটি সুযোগ ও সম্ভাবনা এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে।”

রুহিন হোসেন প্রিন্স।

এনিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “আমরা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে আছি বলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে এমন বয়ান তৈরি করছে যেন মুক্তিযুদ্ধকে নাকচ করে দেওয়া যায়।”

তিনি মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করার পাশাপাশি এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত