কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে।
নুরুল আলম বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বদি।
নুরুল আলম টেকনাফ উপজেলা যুবলীগেরও সভাপতি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে টেকনাফসহ দেশের ১১২ উপজেলার ভোট হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
নুরুল আলম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাই। এসময় সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে সাবেক এমপি বদি এবং অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম ঘটনাস্থলে এসে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। কিন্তু কৌশলগত কারণে তা আমার গায়ে আঘাত করেনি।
“সঙ্গে সঙ্গে আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমি নিরাপদে ফিরে আসি।”
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জানিয়ে নুরুল আলম বলেন, “আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরের হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য বদি সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে প্রাচরণার পাশাপাশি আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। “
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম। তিনি বলেন, “গুলিবর্ষণের ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। আমার এক সর্মথককে নুরুল আলম ধরে নেওয়ার খবর পেয়ে আমি আর বদি ভাই সেখানে যাই। ওখানে গুলির কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
একই দাবি জানান আবদুর রহমান বদিও। তিনি বলেন, “কোনোভাবেই গুলিবর্ষণ হয়নি। তবে ঘটনার সময় দুটি পটকার আওয়াজ শোনা গেছে।”
নুরুল আলমের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনী বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
