Beta
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

আবেদ আলী আমার ডিউটি করেনি, তাকে কখনও দেখিনি : মোহাম্মদ সাদিক

মোহাম্মদ সাদিক। ফাইল ছবি
মোহাম্মদ সাদিক। ফাইল ছবি
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭ জনকে। এদের মধ্যে সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে রয়েছেন সংস্থাটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী, যিনি পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিকের গাড়ির চালক ছিলেন বলে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন অনেকে।

তবে মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, আবেদ আলী তার গাড়ির চালক ছিলেন না। তাকে তিনি কখনও দেখেননি। তিনি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগেই আবেদ আলী চাকরিচ্যুত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মোহাম্মদ সাদিক জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

কবিতায় অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া মোহাম্মদ সাদিক একটি সাহিত্য সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই সকাল সন্ধ্যার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “আমি ২০১৬ সালে পিএসসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করি। তার আগেই আবেদ আলী চাকরিচ্যুত হন। যেহেতু সে কোনদিন আমার ডিউটি করেনি, তাই আমি কখনও তাকে দেখিনি।”

তিনি বলেন, “আমি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগে পিএসসির সদস্য ছিলাম। তারও আগে ওই লোকের চাকরি গেছে। আমার ড্রাইভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবু বকর সিদ্দিক ও শহীদ নামের দুই ব্যক্তি।”

আবেদ আলী
পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ তিনি। গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে তিনিসহ সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

৩৫তম বিসিএস থেকে ৪০তম বিসিএস পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন জানিয়ে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “জ্ঞান ও বিশ্বাস মতো চেষ্টা করেছি এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করতে ও যোগ্যদের বাছাই করতে। আমার লাখ লাখ ছেলে-মেয়ের প্রত্যাশা যাতে পূরণ হয়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার সময়ে এসব প্রশ্ন ওঠেনি। কোনও অনিয়ম হয়নি।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এক প্রতিষ্ঠান তো সবসময় একরকম চলে না। স্টিয়ারিং যার হাতে থাকে তার নীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। সিন্ডিকেট করে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যারা কলঙ্কিত করেছে, সরকার নিশ্চয়ই তাদের খুঁজে বের করবে।”

সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “খুব আহত হয়েছি, এগুলো দেখে। না জেনে, না বুঝে তাৎক্ষণিকভাবে অনেকে হয়তো লিখেছেন। আসলে, এটা আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে, কোনও সংকটের গভীরে আমরা যেতে পারি না। তাৎক্ষণিকতায় উল্লাস করি, প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি। অন্যকে ছোট করতে আনন্দ পাই। এগুলো দুঃখজনক।

“আমার নিজের জন্য নয়, সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আমার দুঃখ লাগছে। আমরা হীন স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে কুণ্ঠাবোধ করি না।”

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ৩৩তম বিসিএস থেকে ৪৬তম বিসিএস পর্যন্ত ড্রাইভার আবেদের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “ব্যারিস্টার সুমন সঠিক বলেননি। ঢালাওভাবে বললে তো হবে না। তথ্যভিত্তিক কথা বলতে হবে। ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তির উচিত নয়।”

আগামী ২১ জুলাই লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন জানিয়ে মোহাম্মদ সাদিক বলেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা শুনে তিনি স্তম্ভিত ও মর্মাহত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত