ক্রিকইনফো তার প্রোফাইলে লিখেছে, ‘‘সময়ের চেয়ে ২০ বছর এগিয়ে থাকা ক্রিকেটার।’’ ভারতীয় কিংবদন্তি আবিদ আলীর পরিচয় লিখতে গিয়ে তারা আরও লিখেছে,‘‘ আবিদ আলীর পা দুইটি স্প্রিন্টারের, দম ম্যারাথনারদের মতো আর ইচ্ছাশক্তি ডেকাঅ্যাথলেটের।’’
দীর্ঘ অসুস্থতার পর বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে মারা গেছেন সেই আবিদ আলী। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অবসরের পর যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতেন তিনি।
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কার জানিয়েছেন, ‘‘তিনি ছিলেন সিংহহৃদয়ের ক্রিকেটার। নতুন বলে বোলিং করতে এসে অভাবনীয় রেকর্ড গড়েছিলেন আবিদ। টেস্ট ম্যাচে বল করতে এসে প্রথম দু’টি বলেই উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব তার। অলরাউন্ডার হিসেবে দলে নির্বাচিত হলেও প্রয়োজনে ওপেনিংও করেছেন। তার ফিল্ডিং ছিল অনবদ্য। সত্যিকারের ভদ্রলোক। পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।’’
২৯ টেস্টে ৪৭ উইকেট আর ৫ ওয়ানডেতে ৭ উইকেট নিয়েছেন আবিদ আলী। ৬টি ফিফটিসহ টেস্ট রান ১০১৮। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৩ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৮৭৩২ রান আর উইকেট ৩৯৭টি।
১৯৬৭ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে প্রথম ইনিংসেই ৬ উইকেট পেয়েছিলেন আবিদ আলী। টেস্ট অভিষেকে ভারতের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটা। ১৯৭৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে অবসর নেন তিনি। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রথম ছক্কা মারা খেলোয়াড়ও তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল করার সময় একবার থ্রোইংয়ের কারণে নো বলের সংকেত শোনেন আবিদ আলী। ইচ্ছে করেই ঘটিয়েছিলেন কান্ডটা। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিউজিল্যান্ডের গ্যারি বার্টলেট নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, আবিদ তারই প্রতিবাদে করেছিলেন এমনটা। এজন্যই তাকে ‘সিংহহৃদয়ের ক্রিকেটার’ হিসেবে ডাকেন অনেকে।