সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত, প্রজাতন্ত্রের সকল বেতনভুক কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা বাতিল করে দিয়েছি, একেবারে বাতিল করে দিয়েছি।”
এর কিছুক্ষণ পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতেও ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যয় স্কিমসহ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।”
‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় চার শতাধিক স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
কিন্তু শুরু থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত ১৩ মার্চ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, স্ব-শাসিত ও বিধিবদ্ধ সংস্থায় নতুন যোগ দেওয়া চাকরিজীবীদের জন্য প্রত্যয় স্কিম চালু করে।
গত ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগ দেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যয় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু এরপর এই স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাদ দিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন তারা।
সরকার শিক্ষকদের দাবি না মানায় গত ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরণের কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের প্রথমে এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সব ধরণের কর্মীদের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছিল অর্থমন্ত্রণালয়।