পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জামিন না মেলায় আবারও কারাগারেই ফিরতে হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গত ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এর মধ্যে সাতদিনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। রিমান্ড শেষে রবিবার তাকে আদালত হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এস আই তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
এসময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়েও আবেদন করে, রাষ্ট্রপক্ষ করে বিরোধীতা।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আরোবিয়া খানম সাবেক এই মুখ্য সচিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবুল কালাম আজাদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তবে গত ৫ আগস্ট তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটলে অন্য সবার মতো পদ হারান তিনিও।
ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন ৬ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা তার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করতে একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম এই ঘটনায় মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
শামীর হত্যা মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখা হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে।