দেশে জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকট থাকায় এবার শীতে নিজের আওতাধীন তিনটি মন্ত্রণালয় ও তাদের আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানিগুলোকে এসি ব্যবহার যতটা সম্ভব না করতে নির্দেশ দিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এই মন্ত্রণালয়গুলো হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এসব মন্ত্রণালয়ের জন্য দেওয়া এই নির্দেশনা পালনে সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়লয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশনা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সেখানে বলা হয়, শীত মৌসুমে নভেম্বর ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও তাদের আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানিগুলোকে যতটা সম্ভব এসি ব্যবসার বাদ দিতে বলা হয়েছে।
এর ফলে সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ, সার উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সব মন্ত্রণালয়কে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে সরকারকে এ ধরনের কিছু উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। ওই সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১৩ সালের ১৩ মে জারি করা এক পরিপত্রে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে এসি সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ব্যবহার এবং আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরিধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ওই নির্দেশনায় পুরুষ কর্মকর্তাদের মার্চ-নভেম্বর সময়ে আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা না থাকলে অফিসে স্যুট-টাই পরিহার করতে বলা হয়। শার্টের ক্ষেত্রে হাফ হাতা শার্ট উৎসাহিত করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শীতের মৌসুমে অপ্রয়োজনে এসি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করে বিগত সরকার।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে সরকারি অফিসে সাশ্রয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন বাল্ব (এলইডি), এসি ও রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। তাছাড়া দিনের বেলায় অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারও নিরুৎসাহিত করা হয়।