অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে এই মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার।
তিনি বলেন, মামলায় চিত্রনায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শান্ত খানের বিরুদ্ধে ২০২২ সাল থেকে দুদক অনুসন্ধান করছে বলে জানান আতাউর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় দুদক শান্ত খান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী ২১ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য নোটিস দিয়েছিল, তবে তিনি তা করেননি।
শান্ত তার নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। আর স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে আসামির নামে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এছাড়া ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত শান্ত খানের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ১৯ লাখ ৩২,৫০০- টাকা।
কাজেই শান্ত খানের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
অর্জিত এই সম্পদের বিপরীতে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের উৎসের তথ্যও পেয়েছে দুদক।
এক্ষেত্রে শান্ত খানের আয় অপেক্ষা অতিরিক্ত সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা, যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বলে প্রাথমিকভাবে দুদক প্রমাণ পাওয়ার অভিযোগ মামলার এজাহারে করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)(ক) ও ২৭(১) ধারায় শান্ত খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
শান্ত খান চাঁদপুরের আলোচিত চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে।
চলচ্চিত্রে শান্তর অভিষেক ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে তার অভিনীত ‘প্রেম চোর’, ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াঁ ভাই’ নামে দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। এছাড়া তিনি বুবুজান ও গ্যাংস্টার নামে আরও দুই সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
