মাসুদা ইসলাম একজন গৃহিণী। তার নামে আলাদা আয়কর নথি নেই। স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল এই নারীর রয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে নিজের এসব সম্পদের কোনও বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি মাসুদা। তাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।
মাসুদার স্বামী মো. নজরুল ইসলাম ছিলেন সিভিল এভিয়েশনের সহকারী প্রকৌশলী। দুদক মনে করছে, মূলত নিজের অবৈধ আয়ই স্ত্রীর সম্পদ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। তাই দুদকের মামলায় তাকেও করা হয়েছে আসামি।
রবিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল-আমিন এই মামলা করেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩২ টাকার সম্পদ অর্জন ও ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও ২৬(২) ধারায় নজরুল ও তার স্ত্রী মাসুদার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি মাসুদা ইসলাম ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি দুদকে দাখিল করা বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকার সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৪ টাকার রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। অর্থাৎ এখানে তিনি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অন্যদিকে গৃহিণী হওয়ার পরেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭০২ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে, যা মূলত স্বামীর অবৈধ আয়ের মাধ্যমে গড়েছেন বলে দুদক মনে করছে।