ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সুদ মওকুফ করে রাষ্ট্রের ১৫২ কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয় বলে কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ওয়াহিদা বর্তমানে অবসরপ্রস্তুতিকালীন ছুটিতে রয়েছেন। তিনি এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এর বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার থাকাকালে একক সিদ্ধান্তে ওই সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণফোনের ৬টি নথিতে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের ৭টি নথিতে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, একটি নথিতে রবি আজিয়াটার ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ টাকা এবং একটি নথিতে এয়ারটেলের ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকাসহ সর্বমোট ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেছিলেন ওয়াহিদা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৩০ টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু তা নির্ধারিত কর মেয়াদে পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। সুদ আদায়ের জন্য নথি উপস্থাপনের পর তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু তিন থেকে পাঁচ মাস পর ওয়াহিদা এককভাবে আগের সিদ্ধান্ত বদলে সুদ মওকুফ করে দিয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
সুদ মওকুফের সেই আদেশ অসৎ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল বলে দুদক মনে করছে।
“১৫২ কোটি টাকা সুদ আইনানুগভাবে আদায়যোগ্য ছিল। কিন্তু তিনি উক্ত সুদ আদায় না করার একক নির্বাহী সিদ্ধান্তটি প্রদান করেন। ফলে সরকারের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা আদায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।”
এই অভিযোগের বিষয়ে ওয়াহিদার কোনও বক্তব্য সকাল সন্ধ্যা জানতে পারেনি।