রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনে শীর্ষ পর্যায়ে কোনও নড়চড় না হলেও পরিচালক পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল হয়েছে।
সোমবার ১০ পরিচালক এবং ৪২ উপ-পরিচালক পদে রদবদলের আদেশ হয় বলে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
পরিচালকদের মধ্যে ফিরোজ মাহমুদকে বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ বিভাগ থেকে সরিয়ে গবেষণা ও পরীক্ষণ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মোরশেদ আলমকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে করা হয়েছে এনআইএস ও ইউএনসিএসির ফোকাল পয়েন্ট।
আব্দুল করিমকে বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ-২ থেকে পাঠানো হয়েছে সিস্টেম উন্নয়ন ও সমন্বয় বিভাগে।
এস এম মফিদুল ইসলামকে অনুসন্ধান ও তদন্ত-৪ থেকে অনুসন্ধান ও তদন্ত-৬ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ জহিরুল হুদাকে অনুসন্ধান ও তদন্ত-৪ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মীজানুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ এর দায়িত্ব।
আবুল হোসেনকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করা হয়েছে। তিনি এতদিন ছিলেন এনআইএস ও ইউএনসিএসির ফোকাল পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে থাকা এস এম আখতার হামিদ ভূঞাকে ঢাকায় প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মো. রফিকুজ্জামানকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর দায়িত্ব।
সৈয়দ তাহসীনুল হককে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করা হয়েছে।
আলাদা আদেশে ৪২ কর্মকর্তাকে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম,দিনাজপুর, নওগাঁ, খুলনা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন অফিসে বদলি করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায় বদলে গেলেও দুদকে তার আঁচ এখনও লাগেনি।
এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ক্ষমতাচ্যুত দলের নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক হাত দেওয়ার মধ্যে এক মাস পর মধ্য পর্যায়ে রদবদল এল।