সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার সেগুন বাগিচায় কমিশনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদকের একটি দল। বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তারা হলেন- মো. মহসিন ইসলাম, আবু মো. মোতালেব হোসেন, আব্দুল জলিল মন্ডল, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু নাঈম মাসুম, সাইদুর রহমান ও সুভাস চন্দ্র রায়।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তারা সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। দুদক কর্মকর্তারা জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
বিকালে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন কার্যালয় ছাড়ার সময় বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতির বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহও সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরিরত অবস্থায় বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দিয়েছিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তবে পদের প্রভাব খাটিেয় সেই পাসপোর্ট নবায়ন করেন তিনি।
দুই বছর পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে অবসরে যান বেনজীর। তার আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। তারও আগে তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বেনজীরের ‘অবৈধ সম্পদের’ তথ্য প্রকাশ এবং তা অনুসন্ধানে হাইকোর্টে আবেদনের পর তার সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
তার পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের দুদক তলব করেছিল। তবে তিনি উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের লিখিত বক্তব্য পাঠান।
তলবের আগে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এর আগে জানিয়েছিলেন, বেনজীরের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদকের অনুসন্ধানের মধ্যে বেনজীর দেশ ছেড়েছেন বলে খবর আসে। তবে তিনি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন তুরস্ক বা স্পেনে থাকতে পারেন তিনি।