Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

আশিয়ান সিটির এমডি ফাঁসলেন ‘ফোর টুয়েন্টি’ মামলায়

SS-DUDOK-ACC-Anti-Corruption-Commission-020424
[publishpress_authors_box]

ডোবা, খাল, নালার ১০০ কোটি টাকার সরকারি খাস জমি ভরাট করে প্লট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগে আসিয়ান সিটি হাউজিংয়ের এমডি নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘ফোর টুয়েন্টি’ ধারার মামলা করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, নজরুল আশিয়ান সিটি হাউজিং প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজায় ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে। ভরাট করার সেই জমি প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে প্লট আকারে বিক্রি করেছেন। দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এজাহারে ঘটনার একটি বিবরণও তুলে ধরেছেন দুদক সহকারী পরিচালক। সেখানে বলা হয়, অশিয়ান ল্যান্ডস ডেভলপমেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি জমি আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রে পর্যালোচনা করা হয়। দেখা যায়, আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতায় দখলকৃত সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক একজন কানুনগো এবং একজন সার্ভেয়ায়ের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে। ওই টিম সংশ্লিষ্ট এলাকার ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়।

সেখানে বলা হয়, প্রকল্পের নকশা, দাগ ও খতিয়ান নম্বর পর্যালোচনা করে প্রকল্পের অভ্যন্তরে বরুয়া মৌজায় ৪২ দাগে ২ দশমিক ৭০৬২ একর, দক্ষিণখান মৌজায় ৯৭ দাগে ৪ দশমিক ৯০০৭ একর এবং উত্তরখান মৌজায় দুই দাগে শূন্য দশমিক ২৮৫৬ একর জমিসহ ৩ মৌজায় মোট ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। ওই সরকারি খাস জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

অবৈধ দখলের এই জমি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে হাউজিং প্লট হিসেবে বিক্রি করেছেন বলেও দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তকালে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আরও কোনও ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আইনামলে আনা হবে। ঘটনার সময়কাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত