Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

দস্তগীর গাজী, শরীফসহ ৭ জনের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক 

SS-DUDOK-ACC-Anti-Corruption-Commission-020424
[publishpress_authors_box]

সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ সাত জনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে একথা জানিয়েছেন।

আরও যে পাঁচজনের দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হবে তারা হলেন, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরিশাল-২ আসনের সাবেক এমপি শাহ আলম তালুকদার, গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ।

এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে শনিবার গভীর রাতে ঢাকার শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আকতারুল ইসলাম বলেন, “সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে জমি জবরদখল করে কারখানা স্থাপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছে।

“পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী হাসিনা গাজীকে পৌরসভা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার অভিযোগও আনা হয়েছে।”

দুদকের অভিযোগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া শাহ আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখা এবং কাবিটার সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও এক যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় তিন মামলার আসামির তালিকায় নাম রয়েছে সাবেক এই আমলার।

বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টেন্ডারবাজি করে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন তিনি।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত