Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

৬ দিনের মধ্যে ৪৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

SS-Accreditation-cards-PID-051124
[publishpress_authors_box]

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪৯ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটশন কার্ড বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে পত্রিকার সম্পাদক, টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিবেদকও রয়েছেন।

গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এর ৬ দিনের মধ্যে আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর। ৩ নভেম্বর এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীরের সই করা আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২ এর অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় যাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হয়েছে, তারা হলেন- টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ ২৪ টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির উপসম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, নিউজ ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন (জ ই মামুন), বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফরাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নাদিম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মণ্ডল, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিস ঘোষ সৈকত, দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দবাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায় ও দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।

এর আগে প্রথম দফায় যাদের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়, তারা হলেন- প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা, ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) তদের সিপিজে এশিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে ৫ নভেম্বর এক পোস্টে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

গত ২৯ অক্টোবর ২০ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সিপিজের পোস্টে বলা হয়েছে, তাদের চারজনকে আওয়ামী লীগ সমর্থন করায় দৃশ্যত প্রতিশোধ নিতে আটক করা হয়েছে।   

অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগজনক নজির হিসেবে দেখছে সিপিজে। তারা বলছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত