ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কোনও বাস বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সেই বাসের মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাস টার্মিনালে নজরদারি দল (সার্ভিলেন্স টিম) আছে। দলটি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত। সেখানে পুলিশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকে।
ভাড়া চার্ট অনুযায়ী আদায় হচ্ছে কি না, ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে কি না বা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না- এসব দেখার কাজ করে এই নজরদারি দল। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও থাকে।
অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান বলেন, “অযাচিতভাবে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ এলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয়, সেক্ষেত্রে নজরদারি দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি বলেন, ঈদের ছুটি শুরুর এক থেকে দুদিন আগে রাস্তায় যাত্রীর চাপ বাড়ে। ঢাকার আশপাশে অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক আছে। তারা বাড়ি যেতে চায়। যারা ট্রিপ নিয়ে ঢাকার বাইরে যায়, তারা ফিরে আসার সময় ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের দিকে যানজটের কারণে আসতে পারে না। বাস না পেয়ে তখন বাধ্য হয়ে আগাম যাত্রী আর শ্রমিকরা লোকাল বাসে চেপে ঢাকার বাইরে রওনা হয়।”
ঈদে লোকাল বাসগুলোর যাত্রী নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া বন্ধে করণীয় জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর বলেন, “অনেক সময় তাদের আটকানো যায় না। তবে আটকানো না গেলেও আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারব।
“আমরা যদি তাদের রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি শনাক্ত করতে পারি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”