Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আদিবাসীদের ১১ দাবি

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে সমতলের আদিবাসীরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে সমতলের আদিবাসীরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয়, আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ১১টি দাবি নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন সমতলের আদিবাসীরা।

তারা বলেছেন, দেশের আদিবাসীদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের কোনও তদন্ত বা বিচার হয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

সোমবার ‘সমতলের আদিবাসী ছাত্র-যুব ও সাধারণ জনগণ’ এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ উদ্বেগের কথা জানান আদিবাসী প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সরকারের আমলে সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কার্যত কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সমতলের আদিবাসীদের দারিদ্র নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিগত সরকারগুলো সামান্য কিছু থোক বরাদ্দ ছাড়া আর কিছু দেয়নি।

দেশে আদিবাসীরা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন আদিবাসী নেতারা।

তারা বলেন, উন্নয়নের নামে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ, ভূমি বেদখল, মিথ্যা মামলা, ধর্ষণ, হত্যা, গুমসহ আদিবাসীদের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পাহাড় ও সমতলে আদিবাসী নারী-শিশুর ওপর নিপীড়নের ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনার কোনোটিরই সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি।

সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আদিবাসী নেতাদের তুলে ধরা ১১ দফা দাবির মধ্যে আছে সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকারে সমতল অঞ্চলের আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, দেশের সংবিধানে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

১১ দফার মধ্যে আরও আছে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিশ্চিত করতে হবে, সমতলের আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে বিশেষ ব্যবস্থা (মনিটরিং সেল বা বোর্ড গঠন) করতে হবে, সমতলের আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার্থে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের ভূমি অধিগ্রহণ, বেদখল ও উচ্ছেদ বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সব আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; সমতল অঞ্চলের আদিবাসী ছাত্র-যুবদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, আদিবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধনের দাবিও ১১ দফার মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত