অভিযান, জেল-জরিমানা, এমনকি কারখানা সিলগালা করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ভেজাল খাদ্যপণ্য। পরিচিত দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের চকলেট, জুসের মতো শিশুদের প্রিয় অন্তত ২০টি খাদ্য দীর্ঘদিন নকল করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটা এমন, এসব পণ্যের মোড়ক দেখে কোনটা আসল, কোনটা নকল- তা বুঝে ওঠার উপায় নেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভেজাল খাবারের কারণে শিশুর পেটের পীড়া, চর্মরোগ তো দেখাই যাচ্ছে। ঝুঁকি আছে শিশুর কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার। শিশুর ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে এসব খাদ্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভেজালবিরোধী অভিযানও চালিয়ে আসছে। কিন্তু এসব ভেজাল পণ্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশের কারণে।
নকল হচ্ছে যেসব পণ্য
অভিযানে শিশুদের পছন্দের যেসব ব্র্যান্ডের নকল পণ্য পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে আছে ভারতের ডেইরি মিল্ক, কিটক্যাট, কিন্ডার জয়, বাংলাদেশের প্রাণ ডেইরির জুস, আইস ললি, অরেঞ্জ ড্রিংকস, লিচি ড্রিংকস, মিল্ক ক্যান্ডি, ম্যাংগো ক্যান্ডিসহ বিভিন্ন ধরনের জুস, চিপস ও তেঁতুলের আচার।
নামিদামি ব্যান্ডের এসব পণ্যের কোনটা আসল কোনটা নকল তা বোঝা কষ্টকর বলে মনে করেন রাকিব হাসান নামের এক অভিভাবক। রাজধানীর উত্তরার এই বাসিন্দা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “নামিদামি ব্যান্ডের পণ্যও নকল হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের খাবার, শিশুরা যেগুলো বেশি পছন্দ করে সেগুলো।
“প্যাকেট দেখে আসল-নকল বোঝা যায় না। বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে নকল পণ্য ধরা পড়লেও কাজের কাজ হচ্ছে না। অলি-গলিতে সবসময়ই পাওয়া যায় এসব খাবার।”
কারা তৈরি করে এসব পণ্য
গত দুই-তিন বছরে বিভিন্ন অভিযানে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশে কিছু কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নানা ধরনের শিশুখাদ্য পাওয়া গেছে। যেখানকার পণ্য আসল পণ্যের মোড়কে ছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব নকল পণ্য যারা তৈরি করে তাদের একটা অংশ নির্দিষ্ট চক্রের সদস্য, যারা ছোট ছোট বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কারখানা চালায়। অভিযানে তাদের কোনও কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে নতুন কোনও বাসা ভাড়া নিয়ে কারবার চালায় তারা।
উত্তরখান থানার উজামপুর এলাকায় সম্প্রতি এমনই একটি চক্রের দুই কারখানার সন্ধান পেয়েছে সকাল সন্ধ্যা। যার একটির নাম ‘গ্রীণ ৯’ এবং আরেকটির নাম ‘বেষ্ট গ্রীণ এগ্রো ফুড এণ্ড বেভারেজ’।
বিএসটিআই গত বছরের ১৮ মে ‘গ্রীণ ৯’ ও ‘বেষ্ট গ্রীণ এগ্রো ফুড এণ্ড বেভারেজ’ কারখানায় অভিযান চালায়। পায় প্রাণের ফ্রুটের নকল জুসসহ ২২ ধরনের নকল শিশুখাদ্য। এর ১৬ মাস আগে ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় কারখানা দুটিতে অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তখনও একই ধরনের শিশুখাদ্য পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি কারখানাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং সিলগালাও করা হয় তখন।
তবে থেমে নেই ‘গ্রীণ ৯’ ও ‘বেষ্ট গ্রীণ এগ্রো ফুড এণ্ড বেভারেজ’ এর ভেজাল শিশুখাদ্যের কারবার। সম্প্রতি একই এলাকায় ভিন্ন ঠিকানায় কারখানা দুটির সন্ধান মিলেছে, নিরিবিলি গ্রামীণ এই পরিবেশে পাওয়া গেছে এমন আরও পাঁচটি কারখানা।
‘বেষ্ট গ্রীণ এগ্রো ফুড এণ্ড বেভারেজ’ কারখানার সামনে গিয়ে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। তখন জানালা দিয়ে জুস তৈরির কারবার দেখা যাচ্ছিল। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খোলা হয়। ভেতরে ঢুকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই এক নারী ছাড়া সবাই পালিয়ে যান।
যা দেখা গেল
কারখানার তখনকার ভিডিওচিত্র আছে সকাল-সন্ধ্যার কাছে।
কারখানাটি ছিল অপরিষ্কার। পানির ট্যাংকির মতো পাত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি মোটা পাইপ। ওই পাইপের চারটা কল দিয়ে কমলা রঙের পানি ভরা হচ্ছিল প্লাস্টিকের বোতলে। সেই বোতলেই লাগানো হচ্ছে ‘প্রাণ ফ্রুটি’র মোড়ক। রান্নাঘরে ছিল এসব জুস তৈরির বিভিন্ন রঙ, কেমিক্যালের প্লাস্টিকের ছোট-বড় বোতল ও কার্টন।
‘মেইড ইন ইন্দোনেশিয়া’
কারখানায় ছোট একটি ড্রামে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘প্রোডাক্ট নেইম: ম্যাংগো ফ্লেভার, মেইড ইন ইন্দোনেশিয়া’। সেই ড্রামে লেগে থাকা ময়লা বলে দিচ্ছিল ড্রামটি অনেক পুরানো। ময়লা জড়ানো এমন অনেক প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া যায় সেখানে।
‘আমগো দরকার টাকা, মালিক গ্যো দরকার কাজ’
‘বেষ্ট গ্রীণ এগ্রো ফুড এণ্ড বেভারেজ’ কারখানায় নারগিস নামে এক কর্মীকে রেখে সবাই পালিয়ে যান।
কেন এমন পরিবেশে, এমন পণ্য তৈরির কাজ করছেন- জানতে চাইলে নারগিস কিছুটা বিরক্ত হন। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, ‘স্যার আমরা এতো মান দিইয়্যা কী করুম। ওইটা, বুঝবো মালিক। আমগো দরকার টাকা। আর মালিক গ্যো দরকার কাজ। এই কথা মালিকরে জ্যিগান। কোনডা আসল আর কোনডা নকল?”
এই কারখানার আগের নাম ‘গ্রীণ ৯’ ছিল কিনা- জানতে চাইলে নারগিস বলেন, “না।”
এসময় সামনের দিক দেখিয়ে বলেন, “গ্রীণ ৯’ ওই দিকে।” নারগিসের দেওয়া ঠিকানায় উজামপুরেই পাওয়া যায় ‘গ্রীণ ৯’ এর নতুন কারখানা।
‘গ্রীণ ৯’ এর কারাখানায়ও নোংরা পরিবেশে নানা ধরনের জুস ও চকলেট তৈরি হচ্ছিল। ফ্রুটো, ফ্রুটিকা, ডেইরি মিল্কের মতো পণ্যের মোড়ক এবং উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লাগিয়ে সেগুলো সাজিয়ে রাখা হচ্ছিল কার্টনে কার্টনে।
এমন পরিবেশে দিনের পর দিন কীভাবে কারখানা চলছে- সে বিষয়ে কথা হয় আলামিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “এই কারখানার কোনও মালিকই এই এলাকার না। দূর থেকে এসে বাসাভাড়া নিয়ে এই প্রতারণামূলক নকল পণ্য তৈরি করছেন। যার প্রধান কারণ নিরিবিলি এলাকা। বেশি জানাজানি হলে শুধু স্থান পরিবর্তন করে এরা।”
‘প্রতিবাদ করা মানে বিপদ ডেকে আনা’
এ প্রসঙ্গে কথা হয় উজামপুরের মোকলেছুর রহমান নামের এক বাসিন্দার সঙ্গেও। তিনি বলেন, “মাঝেমাঝে অভিযান চালাতে দেখি। কিন্তু অভিযানের কয়েকদিন পরেই আবার যা তাই। শুরু হয় ভেজাল পণ্য বানানো।”
প্রতিবাদ করেন না কেন- জানতে চাইলে মোকলেছুর রহমান বলেন, “আমি তো ভাড়া থাকি। এদের সাথে প্রভাবশালী স্থানীয়দের সম্পর্কে ভালো। প্রতিবাদ করা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা ছাড়া কিছু না।”
জানতে চাইলে গ্রীণ ৯ এর মালিক মো. রফিকুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ‘অভিযান তো চলেই ভাই বছরে ৩ থেকে ৪ বার। তবে আমার সব কাগজ পত্র ঠিক আছে। তার পরেও তিন বছরে এই অভিযান চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ প্রথম বার সাড়ে ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বার ২লাখ ৫০ হাজার ও শেষবার ৫০ হাজার করেছিল। আস্তে আস্তে কমছে জরিমান। কারন কাগজ ঠিক করতেছি এই জন্য। ’
কাগজ ঠিক থাকার পরেও কেন অভিযান করে জানতে চাইলে নিজের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এখানে আরও চার থেকে পাঁচটি কারখানা রয়েছে। যাদের কোন কাগজ নাই। তাদের কারখানায় অভিযানে এলে আমার এইখানেও অভিযান চালায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কী বলছেন
জিয়াবাগ, মৈনারটেক, উত্তর খান এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড।
ভেজাল খাদ্য তৈরির কারখানা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেখানকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহিদুল মোল্লা বলেন, “অভিযান করেও তাদের থামানো যায় না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর রয়েছে- তারা দেখবে।
‘লোগো আছে বলেই বিএসটিআই অনুমোদিত না’
গত বছরের ৮ মে ডেমরার ‘আল-ফালাক ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৮ রকমের নকল জুস ও শিশুখাদ্য উদ্ধার করে বিএসটিআই।
অভিযান প্রসঙ্গে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জিশান আহমেদ তালুকদার বলেছিলেন, “পণ্যের মধ্যে বিএসটিআইয়ের লোগো থাকলেই তা নকল নয়, এমনটি মনে করা যাবে না। কারণ, যেকোনও সময় তারা প্রিন্ট করে লোগো ব্যবহার করছে। কাজেই লোগো আছে বলেই বিএসটিআই অনুমোদিত মনে করা যাবে না।”
‘সিলগালা করলে জায়গা বদল’
অভিযান চালানোর পরও কীভাবে এসব কারখানা চলছে জানতে চাইলে বিএসটিআইর অতিরিক্ত পরিচালক রেজাউল হক বলেন, “আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওঁত পেতে থাকে। আমাদের অভিযানে সিলগালা করার পর অন্য স্থানে গিয়ে আবার চালু করে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সন্ধানে এলেই ফের সেই কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করি। যদি আপনাদের সন্ধানে এমন খোঁজ থাকে আমাদের জানাবেন। আসলে সবাই মিলেই এই দুষ্টু চক্রকে রোধ করতে হবে।”
বিভিন্ন কারখানায় অভিযানে থাকা র্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নামমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে এসব কারখানা।”
‘কাস্টমসকে চেক দিতে হবে’
শিশু খাদ্য বা খাদ্যে ভেজাল কীভাবে রোধ করা যায় সে সম্পর্কে কথা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামানের সঙ্গে।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “প্রথমত এসব খাবারের কাঁচামাল আসে বিদেশ থেকে। এ বিষয়ে কাস্টমসকে চেক দিতেই হবে। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আছে, বিএসটিআই আছে- প্রত্যকের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ভোক্তা তো অভিযোগ পেলেই অভিযান চালায়। এক কথায় সবার সমন্বয়ে খাদ্যে ভেজাল রোধ করতে হবে।”
স্বাস্থ্যঝুঁকি
নকল বা ভেজাল শিশুখাদ্যের ঝুঁকি নিয়ে সকাল সন্ধ্যার কথা হয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “শিশুদের খাওয়ানো হয় পুষ্টি বৃদ্ধি, শরীরের ক্ষয় পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। ভেজাল খাদ্য খেলে এগুলো বিঘ্নিত হয়।
“বিষাক্ত খাদ্যে কিডনি ও লিভারের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারও হতে পারে। ভেজাল খাবারে পেটের পীড়া, আলসার হয়। চর্মরোগও হয়।”
ভেজাল খাদ্য রোধে সমন্বিত উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “এগুলো যারা দেখেন তারা কয়েটি জায়গায় বিভক্ত। একটি হলো বিএসটিআই। অনেক সময় দেখা গেছে বিএসটিআই মান নির্ধারণ করে অনুমতি দিয়েছে। সেই মান ঠিক থাকল কিনা, পর্যবেক্ষণ হয় কিনা- আমরা জানতে পারি না। কিন্তু হঠাৎ করে অভিযানে বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে দেখা যায় এগুলোর মান ঠিক নেই।”
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তাদের দায়িত্ব খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা। এ নিয়ে মাঝেমাঝে তারা কাজ করে। কিন্তু আমরা দেখি শিশুখাদ্য ভেজাল মুক্ত হয়নি।
লেলিন চৌধুরী বলেন, “খাবারের মান ও দাম নিয়ে অভিযোগ পেলে কাজ করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অন্য সংস্থার তুলনায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভালোও কাজ করছে। তবে সমাধানের জন্য সমন্বয় দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার দায়িত্ব তিনটি সংস্থার কাছে না রেখে একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে আনা জরুরি।”
কী বলছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
ভেজাল খাদ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আপনি এই সেক্টর নিয়ে কাজ করেছেন বুঝতে পেরেছি। জাতির স্বার্থে হলেও আমাদের ওই কারখানাগুলোর নাম-ঠিকানা দেন। তাহলে আমরা একশ পার্সেন্ট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।”