Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে সলিসিটর রুনা নাহিদ আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।

তারা হলেন– মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।

চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম আহ্বায়কও ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মো. মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা পাবেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর সেকশন ৭ অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলা পরিচালনার জন্য পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়োগ কার্যকর থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।

একাত্তর সালে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইনের অধীনে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছিল হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারককে নিয়ে। তদন্ত শেষে বিচারে আসা মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুই বছর পর ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

এরপর দুজন বিচারপতির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ নাম নিয়ে কার্যক্রম চলতে থাকে।

অনেকগুলো মামলার রায় হয়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করে পুনরায় একটি করা হয়। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি আছেন একজন।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম গঠিত হয়েছিল প্রবীণ আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে। তিনি মারা যাওয়ার পর এই টিমে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হায়দার আলী। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমে বিভিন্ন সময়ে যোগ-বিয়োগ হয়েছে। সর্বশেষ ছিলেন ১৩ জন।

প্রসিকিউশন দলে নিয়োগ হয় সরকার থেকে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১৩ জন প্রসিকিউটরের সবাই একযোগে পদত্যাগ করেন।

এরপর শনিবার রাতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ পাঁচজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হলো।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছরে এই ট্রাইব্যুনাল থেকে এসেছে ৫৫টি মামলার রায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালত পেরিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত-বিএনপির ছয় নেতার ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত