Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

আফ্রিকার ফুটবল লড়াইয়ে কে ফেভারিট

আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স
[publishpress_authors_box]

২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে হওয়ার কথা ছিল প্রতিযোগিতাটি। কিন্তু আয়োজক দেশ আইভরি কোস্টের প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ছয় মাস পিছিয়ে আজ (শনিবার) শুরু হচ্ছে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স। তবে নামের সঙ্গে ‘২০২৩’-ই থাকছে। আফ্রিকার ফুটবল লড়াইয়ের ৩৪তম আসরে কে ফেভারিট? কার ঘরে যেতে পারে এবারের শিরোপা?

কাতার বিশ্বকাপে চমকে দিয়েছিল মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে খেলেছে ফুটবল মহাযজ্ঞের সেমিফাইনাল। বিশ্বকাপেই যাদের নজরকাড়া পারফরম্যান্স, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে তাদের ওপরের দিকে রাখতেই হবে। আফ্রিকার ফুটবল যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি শিরোপা মিশরের। দলে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা মোহাম্মদ সালাহ। তাদেরও উপক্ষো করার সুযোগ নেই। তরুণ দিনের গান শোনাচ্ছেন ভিক্তর ওসিমেন। তার দেশ নাইজেরিয়াও থাকছে ফেভারিটের তালিকায়।

মরক্কো

২০২২ সালে স্বপ্নের মতো এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছে মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে ওঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি শেষ চারের লড়াইয়ে হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে। তবে আগের সময়টা ছিল সাফল্যে মোড়ানো। নকআউট পর্বে স্পেন ও পর্তুগালকে বিদায় করে নতুন ইতিহাস লিখে।

বিশ্বকাপের কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই এখনও মরক্কোর দায়িত্বে। আফ্রিকার ফুটবল যুদ্ধ তার জন্য বড় পরীক্ষা। কাতার বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স যে অপ্রত্যাশিত নয়, আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের শিরোপা জিতে সেটি প্রমাণ করার সময় তার।

প্যারিস সেন্ত জার্মেই ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি ও চেলসি থেকে ধরে গাতালাসারেইয়ে খেলা হাকিম জিয়েচ দলটির মূল আকর্ষণ। বায়ার্ন মিউনিখের নওশের মাজরাউ ও আল শাবাবের রোমাইন সাইসের সঙ্গে হাকিমি মিলে গড়তে যাচ্ছেন টুর্নামেন্টের সেরা রক্ষণভাগ।

গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে মিশরের কাছে হেরেছিল মরক্কো। সর্বশেষ শিরোপা এসেছিল সেই ১৯৭৬ সালে। এরপর ২০০৪ সালেই কেবল যেতে পেরেছিল ফাইনালে। সেবার শিরোপার মঞ্চে হেরেছিল উত্তর আফ্রিকার প্রতিপক্ষ তিউনিসিয়ার কাছে।

সেনেগাল

আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল। ২০২১ সালের ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল মিশরকে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব জেতায় কাতার বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যাশা ছিল তাদের। যদিও তারকা খেলোয়াড় সাদিও মানের ইনজুরির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।

নেদার‌ল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছিল সেনেগাল। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে কাতার ও ইকুয়েডর বাধা পেরিয়ে উঠেছিল নকআউট পর্বে। তবে শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় সেনেগাল।

চেলসির উদীয়মান স্ট্রাইকার নিকোলাস জ্যাকসন আলো ছড়াচ্ছেন। ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে ১৯ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। তার সঙ্গে মানে তো থাকছেনই। আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার সব উপাদানই আছে এই দলে।

মিশর

আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স জিততে মুখিয়ে আছেন সালাহ। লিভারপুল ছেড়ে দেশের হয়ে খেলতে যাওয়ার আগে স্পষ্ট কণ্ঠে বলে গিয়েছেন, “এই প্রতিযোগিতা আমি জিততে চাই।”

গত বছর খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি লিভারপুল স্ট্রাইকার। ফাইনালে হেরে যান। এবার তাই শিরোপা জেতার পণ করে নামছেন। মিশরের সবচেয়ে বড় তারকা যে তিনি, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই ৩০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ফিরেছে লিভারপুলে।

যদিও দেশের হয়ে কোনও সাফল্য যোগ করতে পারেননি সালাহ। মিশর সবশেষ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেই ২০১০ সালে। এরপর দুইবার ফাইনালে খেলেও রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ১৪ বছর ধরে শিরোপা হাতরে বেড়ানো মিশরকে কি সাফল্য এনে দিতে পারবেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড?

সালাহর সঙ্গে দলে আছেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার মোহাম্মদ এলনেনি। আল ইত্তিহাদের আহমেদ হেগাজির কথাও বলতে হবে।

২০২২ বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি মিশর। অনেকদিন আফ্রিকাতেও সাফল্য নেই। তারপরও দলে সালাহ নামের পরীক্ষিত এক খেলোয়াড় থাকায় তাদের ফেভরিটের তালিকায় রাখতেই হবে।

নাইজেরিয়া

মিশরের মতো একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল নাইজেরিয়াকে। ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে ঘানার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়। যেতে পারেনি কাতারে। আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সেও তাদের হাহাকার। ২০১৩ সালে সবশেষ জিতেছিল শিরোপা। গত আসরে তো শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছিল। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন হতে যাচ্ছে।

দলে আছে দারুণ কিছু খেলোয়াড়। যেখানে সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ ভিক্তর ওসিমেন। গত মৌসুমে হয়েছিলেন সিরি ‘আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই ১৯৯০ সালের পর আবারও ইতালির চ্যাম্পিয়ন হয় নাপোলি। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে কিছুদিন আগেই আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ওসিমেন।

তার ঘিরেই বড় স্বপ্ন দেখছে নাইজেরিয়ার। এবারের আফ্রিকার ফুটবল যুদ্ধে তাদেরও রাখা হচ্ছে ফেভারিটের তালিকায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত