বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য এ এক বিরল ঘটনাই বটে! ১৪ বছর পর একাদশ থেকে বাদ পড়লেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় সোমবার বিকেলে ম্যাচ শুরুর আগে যখন পিটার বাটলার অনুশীলন করাচ্ছিলেন মেয়েদের নিয়ে, সেই একাদশে ছিলেন না সাবিনা খাতুন। বাংলাদেশ নারী দলের নতুন ব্রিটিশ কোচ সাবিনাকে পাঠালেন বেঞ্চের ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলন করাতে। একটু পর বাফুফে থেকে পাঠানো চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকাতেও থাকলো কোচের পরিকল্পনার আভাস।
চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে জাতীয় দলের অধিনায়ককে রাখেননি কোচ। যদিও ৩১ মে প্রথম ম্যাচের বিপক্ষে মাত্র ৪৫ মিনিট খেলেন। এরপর চোটের কারণে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানান কোচ। বাকি সময়ে অধিনায়কত্বের আর্ম ব্যান্ড ছিল শিউলি আজিমের হাতে। সোমবারও অধিনায়কত্ব রইলো শিউলির হাতেই।
সাবিনা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের কিংবদন্তি বলাই যায়। সেই ২০১০ সাল থেকে খেলছেন টানা জাতীয় দলে। সেই সাবিনা এর আগে কখনও চোটের কারণে দল থেকে বাদ তো পড়েননি, একাদশ থেকেও বাদ পড়েননি।
জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, “সাবিনাকে আমি কখনওই কোনও দল থেকে বাদ দিইনি। এমনকি কোনদিন ইনজুরির কারণেও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েনি।”
জাতীয় দল ও ঘরোয়া ফুটবলে সাবিনার নামের পাশে লেখা আছে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। টানা ৫ সাফে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি ফুটবলারও সাবিনা। সেই সাবিনাকে রাখা হয়নি জাতীয় দলের একাদশে। তবে কি ক্যারিয়ারের শেষের শুরু দেখে ফেললেন এই স্ট্রাইকার?