অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওনের পর অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোহানা সাবাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার তথ্য বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ঠিক কোন অভিযোগে সোহানা সাবাকে আটক করা হয়েছে তা জানাননি পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর। তিনি বলেন, “অভিনেত্রী সোহানা সাবা আমাদের নজরদারিতে ছিলেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় ডিবি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকার আমলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মধ্যে শাওন ও সাবাকে আটকের তথ্য দিল ডিবি।
নাচের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা সোহানা সাবা অভিনয় শিল্পী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলালে সোহানা সাবাসহ শিল্পীদের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
আন্দোলনে সরকার পতনের মাসখানের পর ৩ সেপ্টেম্বর সোশাল মিডিয়ায় ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বার্তার কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওনের আরেক পরিচয় তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক ও পরিচালক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলায় শাওনের গ্রামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িটি শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তি।
শাওনের মা বেগম তহুরা আলী ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ মেয়াদে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শাওনও আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।