অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও।
সোমবার বিকালে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে মির্জা ফখরুল যমুনায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
অন্তর্বর্তীকালীর সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
এরপর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারে তার সঙ্গে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন আরও ১৬ জন। এরই মধ্যে তাদের দপ্তর বণ্টন হয়েছে, কাজ শুরু করেছেন উপদেষ্টারা।
এর আগে সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুলসহ দলটির নেতাকর্মীরা।
পরে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীর সরকারের প্রতি অতি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরির আহ্বানও জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আশা করছি, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থ হবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। আমি তাদের অনুরোধ করব, অতি দ্রুত নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করতে।
“সব বিপদ কাটিয়ে সত্যিকার অর্থেই মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে মনে করি। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
জনগণকে সজাগ থেকে এসব চক্রান্ত প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্র-জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণকে সুসংহত করাই এখন একমাত্র কাজ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সবাই এখন এটাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। জনগণের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই যে আমরা মুক্ত হয়েছি, এই যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে-একে সুসংহত করার কাজ করুন।”