১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ; উপ-নির্বাচন হয়েছিল মাগুরা-১ আসনে। তখন বিএনপি ক্ষমতায়, ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলগুলো দাবি করে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী অন্য দলগুলোকে নিয়ে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের পর সেই আন্দোলন গড়ায় অসহযোগে।
তখন বিএনপি নির্বাচন করলেও আন্দোলনের চাপে সংসদে বিল আনে সংবিধান সংশোধনের; সেই ত্রয়োদশ সংশোধনেই শাসনতন্ত্রে যুক্ত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
ভোটের দেড় মাস পরই সংসদ ভেঙে পদত্যাগ করে বিদায় নেয় খালেদা জিয়ার সরকার।
তার পরের মাসেই সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার; যার প্রধান ছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ওই সরকার জুন মাসে নির্বাচন আয়োজন করে, তাতে ২১ বছর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। তারপর ২০০১ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়েছিল।
২০০৭ সালে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধাক্কা খেলে আসে জরুরি অবস্থা, তাতে গঠিত হয় আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যারা দুই বছর থেকে নির্বাচন দেয়।
ওই নির্বাচনে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার দু্ই বছর পর সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ের পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধন এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।
তাতে নতুন রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়, যার ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন আবার আদালতের রায়ে ফিরতে যাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
মাগুরায় প্রশ্নবিদ্ধ উপ-নির্বাচন
গণআন্দোলনের এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহবুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন একটি অস্থায়ী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন হয়েছিল।
সেই নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে বিএনপি; আওয়ামী লীগ ছিল সংসদে বিরোধী দলের আসনে।
ভোটে মাগুরা-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মো. আসাদুজ্জামান। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি ১৯৭৯ সালের নির্বাচনের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসন নিয়েছিলেন।
শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা মিলে গঠিত ওই আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আসাদুজ্জামান নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬১ হাজার ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাজেদ উল হক পেয়েছিলেন ৩২ হাজার ভোট। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাজেদ অন্য আসনে জয়ী হয়ে মন্ত্রীও হন তখন।
আসাদুজ্জামান মারা যাওয়ায় মাগুরা-২ আসনে উপ-নির্বাচনের আয়োজন হয় ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে আসাদুজ্জামানের ছেলে শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে। এই বাচ্চুর ভাই সাইফুজ্জামান শিখর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব হয়েছিলেন।
সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপি প্রার্থী করে জি কিউ গ্রুপ অব কোম্পানিজের মালিক কাজী সালিমুল হক কামালকে। এই কোম্পানির বল পয়েন্ট কলম ছিল ইকোনো, সেই কারণে তিনি ‘ইকোনো কামাল’ নামে ছিলেন পরিচিত।
ওই নির্বাচনের পর ঘোষিত ফলে ধানের শীষের প্রার্থী কামালকে (৭৩ হাজার ভোট) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আর শফিকুজ্জামান বাচ্চুর ভোট ছিল ৩৯ হাজার।
সেদিন জাল ভোট আর কেন্দ্র দখলের মহড়ার কথা সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়ে আসে। তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপির অভিযোগের খবর এসেছিল আজকের কাগজে। ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল- মাগুরার উপ-নির্বাচনে সহিংসতা ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ’।
ওই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ সারাদেশে হরতাল ডেকেছিল। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে বিএনপি গলা টিপে হত্যা করল’।
ওই নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দলের অভিযোগে ভিত্তি দিয়েছিল তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফের নির্বাচনী এলাকা থেকে আকস্মিক চলে আসা।
ভোটের আগের দিন ১৯ মার্চ সকালে মাগুরায় গিয়েছিলেন তিনি; কথা ছিল ভোট শেষ করেই তিনি আসবেন। কিন্তু পরিবেশ দেখে বিরক্ত হয়ে ভোটের আগের রাতেই তিনি ঢাকা ফিরে আসেন।
ফেরার পর বিচারপতি রউফ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমি মাগুরায় নির্বাচনের দিন থাকতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, সেখানে অনেক মন্ত্রী আছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন, একশর ওপর এমপি আছেন। আমি আর থাকার প্রয়োজন বোধ করিনি। তাই চলে এসেছি।”
১৯৯১ সালের নির্বাচন আয়োজনে নেতৃত্ব দেওয়া বিচারপতি রউফ সেদিন আর কোনও কথা বলেননি; শুধু বলেছিলেন, “নির্বাচন শেষ হলে কথা বলব।” পরে নিজের মেয়াদ শেষ না করেই নির্বাচন কমিশন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সিইসি রউফ।
ওই নির্বাচনের পর যখন ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছিল, তখন আওয়ামী লীগ দাবি করে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না, তাই দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
আন্দোলনের চাপে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
১৯৯৪ সালে মাগুরার উপ-নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগ নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। অপরাপর রাজনেতিক দলও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়, এমনকি জামায়াতে ইসলামীও।
সেই আন্দোলনের বছর গড়ানোর আগেই জাতীয় সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সংসদ সদস্যরা।
১৯৯৫ সালের পুরো সময়জুড়ে হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিএনপি সেই দাবি না মানতে কঠোর অবস্থান নেয়।
বিরোধীদের দাবির অসারো তুলে ধরতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।
তার সেই কথায়ও তীব্র প্রতিবাদ তোলে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ষষ্ঠ নির্বাচনের পথে যখন বিএনপি এগোচ্ছিল, তখন খালেদা জিয়া যেখানেই সমাবেশ ডাকেন, সেখানেই হরতালের ডাক দিতে থাকে আওয়ামী লীগ।
পরিস্থিতি এই পর্যায়ে গড়িয়েছিল যে নিজের জেলা ফেনীতেও দুটো সমাবেশ বাতিল করতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বয়কটের ডাক দেয় আন্দোলনে থাকা সব দল। তাতেও খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিরোধী দলের ‘বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য’ সৃষ্টির চেষ্টায় তিনি বিচলিত নন। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার কারণে এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।
নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়ে ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি হরতাল দেয় আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো। তাতে সারাদেশে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন প্রকাশিত ইনকিলাবে শিরোনাম ছিল- “আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যে আজ নির্বাচন/ কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পৌঁছেনি।”
আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- “দেশব্যাপী হরতাল ও সহিংসতা/ নিহত ৫, আহত কয়েকশ, থমথম অবস্থা।”
ভোটের পরদিন ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- “অভূতপূর্ব হরতাল।” মূল প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- “নগন্য ভোটারের উপস্থিতিতে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন।” সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- ২৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, ব্যাপক সহিংসতায় ১০ জন নিহত।
সেদিনই শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিন।
ভোটের পর তৎকালীন সিইসি বিচারপতি এ কে এম সাদেক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কত শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে, সেটি বড় কথা নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটাই আসল কথা।
৩০০ আসনের মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৫০টি আসনে। ৪৬টি আসনে বিএনপির একক প্রার্থী বিনা ভোটে বিজয়ী হন।
ভোটের পর টানা ১০৮ ঘণ্টার অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।
ভোটের আগেই দুই পক্ষকে মীমাংসায় আনতে আলোচনার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কোনোটিই ফলপ্রসূ হয়নি। ঢাকায় আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ডেভিড এন মেরিল মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি ফয়সালা না হলে কোনও নির্বাচনে তারা যাবে না।
আওয়ামী লীগের দাবি ছিল, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ একটি উপদেষ্টা পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। সেই উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার হাতে নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে।
অন্যদিকে বিএনপি রাষ্ট্রপতির অধীনে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে প্রেসিডেন্টের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
কিন্তু দুই পক্ষ কোনোভাবে একমত হতে না পারায় ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের দিকে গড়ায় পরিস্থিতি। তবে ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি হবে যাতে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তার সেই ভাষণের মধ্যে বিরোধী দলের দাবি মেনে আরেকটি নির্বাচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল; তবে সবকিছু তখনও রাজনৈতিক সমঝোতার ওপরই নির্ভরশীল ছিল।
১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর বিরোধীদের আন্দোলনের মধ্যেই খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনরায় শপথ নেন। তার কিছু দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য বিল রিচার্ডসন ঢাকায় আসেন। তিনি খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দুজনের সঙ্গেই বৈঠক করেন এবং সমঝোতায় আসার তাগিদ দেন।
রিচার্ডসন চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উদ্যোগ নেন মধ্যস্থতার। কয়েক দফা বৈঠকের পর ৩ মার্চ ভাষণ নিয়ে জাতির সামনে আসেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্যও সংসদে বিল আনা হবে।
এর দুদিন পরে আলোচনায় বসতে শেখ হাসিনার কাছে যায় খালেদা জিয়ার চিঠি। ১০ই মার্চ বিরোধী দলগুলো আলাদাভাবে রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনায় বসে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং মে মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজি হয় বিএনপি।
এদিকে তখনও ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন এবং সংসদ বাতিলের দাবি ছিল বিরোধী দলগুলোর। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংসদেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হওয়া উচিৎ।
এরপর ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ বসে শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাসের জন্য। অধিবেশনের চতুর্থ কার্যদিবস ২৪ মার্চ বিলটি উত্থাপন করা হয়। ২৬ মার্চ ভোররাতে পাস হয় বিলটি।
কিন্তু খালেদা জিয়ার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে দেরি হওয়ায় আওয়ামী লীগ আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে এর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও, গঠিত হয় ‘জনতার মঞ্চ’।
শেষে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন, ভেঙে দেওয়া হয় ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ। প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
তখন যে আওয়ামী লীগের চাপে বিএনপি বাধ্য হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে; দেড় দশক পর সেই আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিল; আবার বিএনপি আবার তার পক্ষে অবস্থান নেয়।