Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

পাহাড়ে আবার খুনের অভিযোগ

ss-hill-khagrachori-101124
[publishpress_authors_box]

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে বেশ কিছুদিন উত্তপ্ত ছিল দেশের তিন পার্বত্য জেলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে গত ৫ নভেম্বর উন্মুক্ত করা হয় খাগড়াছড়ি।

এরপর পাঁচদিন পেরোতে না পেরোতেই সেখান থেকে আবার এলো খুনের অভিযোগ।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সংগঠককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

যদিও পানছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় সকাল থেকে গোলাগুলির তথ্য পেলেও নিহতের খবর নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

রবিবার বেলা ১২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড হয় বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউপিডিএফ। নিহত মিটন চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার উদোলবাগান গ্রামের বাসিন্দা।

তবে কোন এলাকায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা জানায়নি সংগঠনটি। হত্যাকাণ্ডে তারা দায়ী করেছে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস)। এ বিষয়ে জেএসএসের বক্তব্য জানা যায়নি।

লিখিত বিবৃতিতে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক ও কেন্দ্রীয় মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেছেন, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জেএসএস সন্তু গ্রুপের একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হন।

তিনি অবিলম্বে মিটন চাকমা হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সকাল-সন্ধ্যাকে বলেন, “রবিবার সকাল থেকেই পানছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির খবর পাচ্ছি। তবে এখনও কোনও নিহতের তথ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারেনি। এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় সব তথ্য পাওয়াও যাচ্ছে না। আমরা খোঁজ খবর রাখছি।”

গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহর, দীঘিনালা উপজেলা এবং ২০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দুই জেলায় চারজন নিহত হয়, আহত হয় শতাধিক মানুষ।

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকাকালেই গত ১ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এরপর ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান– তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলো।

এসব নিষেধাজ্ঞা চলার মধ্যেই গত ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী নিহত হন।

এ নিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে ১৮ জন ইউপিডিএফের নেতাকর্মী ও সমর্থক খুন হলেন।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা ইউপিডিএফের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এসময়ে এখানে খুন হলেন ৯ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত