Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নেপালের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন ‘আগ্রাসী’ তানজিম 

নেপালের আরও একটি উইকেটের পতন। আরও একবার উল্লাস তানজিম সাকিবের। ছবি: সংগৃহীত।
নেপালের আরও একটি উইকেটের পতন। আরও একবার উল্লাস তানজিম সাকিবের। ছবি: সংগৃহীত।
[publishpress_authors_box]

৪ ওভারে ৭ রানে ৪ উইকেট! এটা যে কোনও বোলারের জন্য এক স্বপ্নের স্পেল। এমন এক বিধ্বংসী স্পেলে তানজিম সাকিব হয়ে উঠেছেন হিমালয় জয়ের নায়ক। এরপরও নায়কের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস নেই, দুই চোখে নেই খুশির ঝিলিক। বাংলাদেশের জয়ের মূল কারিগর হয়েও তিনি জয়ের অংশীদার করে নিচ্ছেন সবাইকে। নাম ধরে ধরে সব বোলারের কথা উল্লেখ করেছেন ম্যাচ জয়ের পর।

বোর্ডে মাত্র ১০৬ রানের পুঁজি। এ দিয়ে নেপালের বিপক্ষে লড়াই করা কঠিন। তিনি দিন আগে নেপালিরা নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে। সেই থেকে ‘বাঘের’ মনেও ভয়। সোমবার ভয়ের অর্ধেকটা উবে গেছে তানজিম সাকিবের আগ্রাসী বোলিংয়ে। নতুন বল হাতে এই পেসার শুধুই আগ্রাসী মেজাজটা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, “আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্রাসী বোলিং করে গেছি।” তাতেই নেপালের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে চুরমার। শুরু থেকে টানা ৪ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ পেসার। তার চেয়ে বড় কথা, তার করা ২৪ বলের মধ্যে ২১ বলে কোনও রান নিতে পারেনি নেপাল।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে উইকেট নেওয়ার উদযাপন তানজিম সাকিবের। ছবি: সংগৃহীত।

এখানেই আসলে নেপাল অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। ম্যাচ শেষে তাই নেপালি অধিনায়ক রোহিত পাদেল আফসোস করেছেন, “বাংলাদেশের বোলিং খুব ভালো ছিল। আমরা পাওয়ার প্লে-তে রান করতে পারিনি। ওই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েছিলাম।” এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়েছিল তারা ষষ্ঠ উইকেটে। সেটাও ৫২ রানের বেশি হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ‘কাটার মাস্টার’ই ফিরিয়েছেন উইকেটে মানিয়ে নেওয়া দুই ব্যাটার দিপেন্দ্র সিং(২৫) ও কুশল মাল্লাকে (২৭)।

সত্যি বললে, বাংলাদেশের দুই পেসারই ম্যাচ জয়ের স্বপ্নটা ফেরি করে নিয়েছেন শেষ অবধি। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ১০৬ রানের পুঁজিতেও ম্যাচ জয়ের বিশ্বাস নিয়েই তারা বোলিংয়ে নামে। ম্যাচসেরা পেসার তানজিমের দাবি, “এই রানও আমরা ডিফেন্ড করতে পারবো, এই বিশ্বাস ছিল। তাই ভীত না হয়ে আমরা ভালো জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করে গেছি। সবাই এই কাজটা ভালোভাবে করেছে বলেই ম্যাচ জিতেছি।”

উইকেট পাওয়ার অপেক্ষায় সতীর্থদের সঙ্গে তানজিম সাকিব। ছবি: সংগৃহীত।

আসলে তাই। বোলারদের ওপর ভর করেই বিশ্বকাপ অভিযান চলছে বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে নামলেই বাংলাদেশের ৩/৪ উইকেট হাওয়া হয়ে যাবে নিমিষেই। এরপর কেউ একজন দাঁড়াবে, খানিক বিরতি আসবে উইকেট পড়ায়। শেষমেষ লড়াই-সংগ্রাম করে একটা স্কোর হবে। এরপর বোলারদের আগ্রাসী বোলিংয়ে উড়ে যাবে সব সংশয়-সন্দেহ। আর নাজমুল হোসেন শান্ত মুখে চওড়া হাসি নিয়ে অধিনায়ক সুলভ দু-চার কথা বলে লোক হাসাবেন। এই হয়ে গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিত্য দিনের চেহারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত