আসন্ন রমজানে খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। তিনি বলেন, কোনও রকম মজুদদারী বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সায়েদুল হক তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, মন্ত্রী বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলছেন। এখানে রাস্তা মনিটরিং, সিন্ডিকেট মনিটরিংসহ অনেকগুলো বিষয় মনিটরিং করার আছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা না নিলে সেগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কতটুকু করতে পারবে? যৌথ টাক্সফোর্স আছে কিনা, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনও হস্তক্ষেপ চাইবেন কিনা?
জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। পরিবহন পর্যায়ে, বাজার ব্যবস্থাপনায় কোনও বাধা যাতে না হয় সে ব্যাপারে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।”
আগামী রমজানে খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কোনও রকম মজুদদারী বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সম্পূরক প্রশ্নে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সরকার দলের এমপি সালাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, “মজুদদারী এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জরুরিভিত্তিতে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি হিসেবে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব করছি। আমার প্রশ্ন এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি?”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কৃষি, খাদ্য, মৎস- এই তিনটি মন্ত্রণালয় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক পণ্যের আমদানি এবং উৎপাদন পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মনিটরিং চালু রাখব। একটা হট লাইন চালু আছে। ভোক্তারা প্রতারিত হলে বা বেশি দামে কিনতে হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রজমানের আগেই ৩৩৩ একটা হটলাইন চালু করছি। সেখানে যে কোনও পণ্য যৌক্তিক মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি হলে, ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
“শুধু পুলিসিং করে না, সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার স্থিতিশীল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রমজানে যে পরিমাণ নিত্যপণ্য দরকার তা যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি হয়েছে, মজুদ আছে। আমরা শুধু সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি। আশা করি কোনও মজুতদার কারসাজি করার সুযোগ পাবে না।”
আর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ এবং চিনির ব্যাপারে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দুইটি পণ্যের রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশকে প্রতিবেশী বন্ধুসুলভ দেশ বিবেচনায় তারা পেঁয়াজ এবং চিনি রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেবেন বলে আশা করছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ভারত সফর করে এসেছেন। সেখান থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন যে প্রক্রিয়া চলছে। ভারত থেকে এবং বিকল্প অন্য মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।”