Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

শিক্ষা কমিশন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলন

prass club-3
[publishpress_authors_box]

১০টি সংস্কার কমিশন হলেও শিক্ষা নিয়ে কমিশন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কোন পথে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রম সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অবিলম্বে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিও জানান তিনি। বিএনপি আমলের এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরীক্ষার হলে নকল বন্ধে বেশ আলোচিত ছিলেন।

বৈঠকে এহসানুল হক মিলন বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন বিভিন্ন কমিশন গঠন হলেও কোনও শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি, যা দুঃখজনক। অথচ আমরা একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম।”

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেও তা যথাযথ সুফল বয়ে আনতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই এই দফায় একটি শিক্ষা কমিশন গঠন হবে, যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে শিক্ষা সংস্কারে কাজ করবে।”

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষা খাতকে ঢেলে সাজানোর মতো শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু সে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। পাশের দেশ শিক্ষার হাব তৈরি করেছে, সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়তে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ফরেন কারেন্সিও নষ্ট হচ্ছে।”

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলন বলেন, “একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন সব মিলিয়ে ১৭ হাজার টাকা, বর্তমান বাজারে এ টাকায় চলা খুবই কঠিন।”

ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে এ পর্যন্ত ১০টি কমিশন গঠন করেছে।

এর মধ্যে প্রথমে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রমিক অধিকার ও নারী বিষয়ক আরও চারটি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি (এফইটি) ও এডুকেশন টাইমস আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফইটির জেনারেল সেক্রেটারি শরীফ মোহাম্মদ সফিকুল আলম।

বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, সেভ দ্য চিলড্রেনের ডিরেক্টর (এডুকেশন প্রোগ্রাম) মেহেরুন্নিসা স্বপ্না প্রমুখ।

বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণবুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের। তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত