Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে কাজ করা হচ্ছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ss ahsanul haque titu-30-5-24
[publishpress_authors_box]

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমানোর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার; ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না, আর ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য কিনছে, মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম কমানোর বিকল্প নেই।

দেশের কোন জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী তথ্য কাঠামো প্রণয়নের কোনও বিকল্প নেই মন্তব্য করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কৃষি পণ্যের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ও সার্টিফিকেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন প্রণীত ‘লজিস্টিক পলিসি ২০২৪’- তে ভ্যালু চেইনসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যান্য বিষয়গুলোর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে উদ্যোক্তাদের জানতে হবে। সেই সঙ্গে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শীঘ্রই ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে ‘আইআরসি’ এবং ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট পাওয়ার সব ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, এবছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি)’ সেবার সব ধরনের কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এগ্রিকালচারের কোনও বিকল্প নেই এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়, সেই সঙ্গে এ খাতে ব্যয় ২০ শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি কৃষকের আয় ৩০-৪০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাইচেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

বিদ্যমান অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এখাতের তথ্য-প্রযুক্তি তৈরি করা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায়ই কৃষি খাত বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়। প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেও উৎপাদন হ্রাস পায়। আমাদেরকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট এগ্রিকালচার প্র্যাক্টিসের ওপর আরও বেশি গুরুত্বারোপ করতে হবে।”

সেমিনারে আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ ‘এগ্রো ভ্যালু চেইনে ফ্রন্টিয়ার টেক অটোমেশনের সম্ভাবনা’ এবং সুইসকন্টাকের সিনিয়র ম্যানেজার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সাকিব খালেদ ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার : ইস্যুস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ইন ভ্যালুচেইন ডেভেলমেন্ট’ বিষয়ক দুটো মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত