যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়া এয়ার অ্যারাবিয়ার উড়োজাহাজটির রাতেই বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। সকালের নির্ধারিত ফ্লাইটের ১৯১ যাত্রী নিয়ে রাত ১০টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছাড়ার সময় নির্ধারণ করেছে এয়ার অ্যারাবিয়া।
এর আগে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ের মাঝখানে আটকে যায় এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিল। সকালেই ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী নিয়ে শারজাহ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বাহনটির।
কিন্তু রানওয়েতে আটকা পড়ে ত্রুটি শনাক্ত হওয়ায় শুক্রবার সকালের নির্ধারিত ফিরতি ফ্লাইটটি বাতিল করতে হয়।
এদিকে রানওয়েতে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা, বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামাতেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।
পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজটিকে যাত্রীসহ নিরাপদে টেনে রানওয়ে থেকে সরিয়ে রানওয়ের পাশের এপ্রোনে নিয়ে যায়। রানওয়ে সচল হলে শুরু হয় উড়োজাহাজের স্বাভাবিক ওঠানামা।
এয়ারবাস-৩২১ মডেলের উড়োজাহাজটি ফিরতি ফ্লাইটে নতুন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সকাল সাতটা ৪৫ মিনিটেই শারজাহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আটকা পড়েন যাত্রীরা। পরে তাদের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির সারিয়ে বাহনটি চলাচল উপযোগী করতে কাজ করছেন প্রকৌশলীরা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “শারজাহ থেকে আসা ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন চট্টগ্রামের কাছাকাছি মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের হাইড্রোলিক প্রেসারে সমস্যা লক্ষ্য করেন এবং বিমানবন্দর ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে সতকর্তামূলক পদক্ষেপ নিয়ে ক্যাপ্টেন নিরাপদে রানওয়েতে অবতরণ করেন। একটু পরই উড়োজাহাজটি রানওয়েতে বন্ধ হয়ে যায়।”
সকাল ৮টা ৫২ মিনিটের দিকে উড়োজাহাজটিকে নিরাপদে টেনে সরানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে ১৯১ জন যাত্রী ও নয়জন ক্রু ছিলেন; তারা নিরাপদে আছেন। এয়ার এরাবিয়ার বিকালের ফ্লাইটে প্রকৌশলী দল প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি নিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছবেন। ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীদের রাত ১০টার মধ্যে আবার ফ্লাইটটি শারজাহ’র উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।”
ততক্ষন পর্যন্ত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যাত্রীরা চট্টগ্রামের হোটেলেই অবস্থান করবেন বলে জানান গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ।
শারজাহভিত্তিক সংস্থা এয়ার অ্যারাবিয়ার বাংলাদেশের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) এমজিএইচ গ্রুপ। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম থেকেই সরাসরি শারজাহ ও আবুধাবি রুটে দিনে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করে এয়ার অ্যারাবিয়া।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যারাবিয়ার শারজাহগামী একটি ফ্লাইটকে উড্ডয়নের দুই ঘণ্টা পর ১৪৯ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয়েছিল।