চট্টগ্রামের শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৪৯ যাত্রী শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রওনা দিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর শারজাহর উদ্দেশ্যে। ফ্লাইটটি ছিল শারজাহভিত্তিক এয়ার এরাবিয়ার। কথা ছিল পাঁচ ঘণ্টা পর শারজাহ নামবেন। কিন্তু এক ঘণ্টা চলার পর মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি। পাইলট আর সামনে না এগিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। যাত্রী নিয়ে নিরাপদে রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নামেন।
সেই ফ্লাইটে ছিলেন বেশিরভাগ ওমরাহ যাত্রী ও আরব আমিরাত প্রবাসী। কিছু ট্রানজিট যাত্রীও ছিলেন। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সবাই চট্টগ্রামে আটকে আছেন। শনিবার রাতে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে প্রথমে যাত্রীদের চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাখা হয়। পরে চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদের ল্যান্ডমার্ক, অর্কিডসহ একাধিক হোটেল রাখা হয়। অনেক যাত্রী অবশ্য চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়স্বজনের বাসায় চলে যান।
জানতে চাইলে শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “উড়োজাহাজের ত্রুটি মেরামতের কাজ চলছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ যাত্রীদের ফ্লাই করার একটি শিডিউল দেওয়া হয়েছে এয়ার এরাবিয়ার পক্ষ থেকে। দেখা যাক কী হয়।”
তিনি বলেন, যাত্রীদের চট্টগ্রাম শহরের হোটেলে রাখা হয়েছে। শিডিউল ঠিক থাকলে তারা আবার বিমানবন্দরে আসবেন।
কবে নাগাদ যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে আবারেও উড়াল দিতে পারবেন জানতে এয়ার এরাবিয়া বাংলাদেশের ম্যানেজার (সেলস) ইকরামুল কবির রিয়াজকে ফোন দিলে তিনি সাড়া দেননি। ফলে এয়ার এরাবিয়ার কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, শারজাহভিত্তিক বিমানসংস্থা এয়ার এরাবিয়ার বাংলাদেশে জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) এমজিএইচ গ্রুপ। আর এয়ার এরাবিয়া শুধু চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি শারজাহ ও আবুধাবি রুটে দিনে চারটি ফ্লাইট চালাচ্ছে। দিনে চারটি ফ্লাইট দিয়ে ১৭শ’ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা আছে এয়ার এরাবিয়ার। বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ যাত্রীদের বড় অংশই পরিবহন করছে এই বিমান সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটই বেশি।