বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার মতে, এ কারণে বিএনপি পথহারা পথিকের মত দিশাহারা।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এই মতামত দেন।
বিএনপি কী বক্তব্য দিচ্ছে তা নিয়ে দেশের মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির কী বলছে তা নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। ওরা এখন মহাভুল করছে। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা উপলব্ধি করতে পারছে যে, ভুল করেছে নির্বাচন না করে। সে কারণে আজকে তারা পথহারা পথিকের মত দিশাহারা।”
বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “পুলিশের অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া (মিছিল) করতে গেছে। সেটাও অবৈধ। যখন তখন কর্মসূচি নিবেন ফ্রি স্টাইলে। নির্বাচনে আসেন নাই, একটা ভুল করেছেন। এখন আবার নির্বাচনের বিরুদ্ধে কালো পতাকা মিছিল করছেন।”
বিএনপির কালো পতাকা, কালো ব্যাজের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পুলিশকে অমান্য করে তাদের দম্ভোক্তি শুনেছি, যে আমরা আর অনুমতি নেব না। অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইলে (কর্মসূচি) করবে, আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব— এটা মনে করার কোনও কারণ নাই।”
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা কেন— এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “মিয়া আরেফীকে নিয়ে অফিসে প্রকাশ্য দিবালোকে বাইডেনের উপদেষ্টা সাজিয়ে আমাদের ভয় দেখান। যে অপকৌশলের আশ্রয় তারা নিয়েছিল সেটি ব্যর্থ হয়েছে।”
বাংলাদেশের নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার অনেক শাখা আছে। আমরা দেখলাম, নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) সংসদ অধিবেশনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত ছিলেন। একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।”
সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নে পরীক্ষিত ত্যাগীদের গুরুত্ব দেবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সংরক্ষিত ৫০ আসনের মধ্যে আমাদের সদস্য সংখ্যার সঙ্গে স্বতন্ত্রদের পক্ষ থেকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে যেভাবে মনোনয়ন চাওয়া ও ফরম নেওয়ার হিড়িক, সে তুলনায় দেওয়ার সংখ্যা তো খুবই কম। পঞ্চাশের নিচে। পরীক্ষিত ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন। যারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু তাদের ব্যাপারটা অগ্রাধিকার দেব। দলগতভাবে ৩৮ ও স্বতন্ত্রদের থেকে ১০ আসলে ৪৭/৪৮ জন মনোনয়ন দেব।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।