ধাক্কা কিছুটা সামলে কয়েকটি জেলায় রাজপথে নেমেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার দিন থেকে তার জেলা গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ হচ্ছিল, তার সঙ্গে এখন আরও কয়েকটি জেলায়ও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান সেদিনই জানিয়েছিলেন। তার তিন দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আওয়ামী লীগ ছন্নছাড়া অবস্থায় পড়ে। বিভিন্ন স্থানে দলটির কার্যালয় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, সারাদেশে আক্রান্ত হয় দলটির নেতারা।
দেড় দশক প্রতাপ নিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের কোনও নেতার দেখা এখন মিলছে না। বিদেশে থেকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে সোমবার থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে গোপালগঞ্জে। জেলা শহরের পাশাপাশি টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়ায়ও বিক্ষোভ চলছে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিনসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর জেলার নেতারা এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শনিবারও গোপালগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয় বলে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনাকে জোর করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে দাবি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানায় মিছিলকারীরা।
শনিবার শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ বিক্ষোভ থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথবাক্য পাঠ করেন তারা।
শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও বরগুনায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ হয়েছে।
দৈনিক সমকাল জানায়, শুক্রবার বিকালে মাদারীপুরের রাজৈরে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
প্রথম আলো জানিয়েছে, শনিবার বরগুনা জেলা শহরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। সকাল ১১টায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘোরে। মিছিলে যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়।