ভারতে থেকে শেখ হাসিনার ফোনালাপের নানা অডিও ক্লিপ আসছিল সোশাল মিডিয়ায়, তা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকাশ করেছিলেন উষ্মা; এরপর তেমন একটি অডিও ক্লিপ আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পাতায় প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে ছন্নছাড়া আওয়ামী লীগ তাদের বক্তব্য বিবৃতি নিজেদের ফেইসবুক পাতায়ই প্রকাশ করে আসছে। বুধবার দুপুরে সেই পাতায় এক পোস্টে শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ তোলা হয়।
তার ক্যাপশানে বলা হয়েছে, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে এই বক্তব্য দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়া দিল্লিতে কোথায়, কীভাবে আছেন, তা প্রতিবেশী দেশটির সরকার প্রকাশ করেনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তার কয়েকটি অডিও ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় এলেও আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পাতায় এই প্রথম কোনটি প্রকাশ করা হলো।
আর তা করা হলো ভারতের সংবাদপত্র দ্য হিন্দুকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার প্রকাশের একদিন বাদেই।
ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতে থেকে শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “তার (শেখ হাসিনা) ভারতে থাকাটা এই মুহূর্তে কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলাটা সমস্যার।
“তিনি বাংলাদেশের বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তা রাজনৈতিক বিষয়ে। তিনি ক্রমাগতভাবে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন, সেটাই সমস্যার।”
গত আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে অভ্যুত্থানের সময় নিহতের ঘটনাগুলোতে শেখ হাসিনাকে গণহত্যার আসামি করে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বানও জানানো হচ্ছে। তবে তাতে নয়া দিল্লি কোনও সাড়া দিচ্ছে না। এনিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপড়েন চলছে।
ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠায়, তবে তা দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে হুঁশিয়ারও করেন ড. ইউনূস।
তার মধ্যেই শেখ হাসিনার বক্তব্যের অডিও ক্লিপ প্রকাশ করল আওয়ামী লীগ।
এই টেলিকনফারেন্সে শেখ হাসিনা দাবি করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে তার সরকার কোনও হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি।
এই হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনও সরকার যদি হত্যাকাণ্ড করে, তাহলে কি সে জুডিসিয়াল অ্যানকোয়ারি কমিটি করে?”
শেখ হাসিনা দাবি করেন, তার সরকারকে উৎখাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হয়েছিল এবং এর মদদ দিয়েছিলেন ড. ইউনূস।