২৪ বছর পর ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা। বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ ক্যান্সারে আক্রান্ত। চার মাস ধরে লড়ছেন হজকিন লিম্ফোমার সঙ্গে।
হজকিন লিম্ফোমা হলো দ্রুত বর্ধনশীল ও আক্রমণাত্মক রক্তের ক্যান্সার। ৮০ বছর বয়সী পাহেইরার প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। বিশ্বকাপজয়ী কোচের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হয়ে খবরটি দিয়েছে তারা। গত চার মাস ধরে চলছে তার কেমোথেরাপি। চিকিৎসায় পাহেইরার শরীর ‘দারুণভাবে সাড়া দিচ্ছে’ বলেও সিবিএফ জানিয়েছে এক বিবৃতিতে।
ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানিয়েছে, “কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন। ব্রাজিলের চতুর্থ বিশ্বকাপজয়ী কোচের পরিবার এবং সামারিতানো হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় পাহেইরার স্বাস্থ্য ইতিবাচক উন্নতি করছে।’
১৯৭০ সালে তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। তবে পরেরটি জিততে অপেক্ষায় থাকতে হয় ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। সেবার সেলেসাওরা যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাহেইরার অধীনে।
ঘানা জাতীয় দল দিয়ে ১৯৬৭ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন পাহেইরা। এরপর ফ্লুমিনেন্সে ও কুয়েত ঘুরে প্রথমবার ব্রাজিলের দায়িত্ব নেন ১৯৮৩ সালে। তবে প্রথম দফায় মাত্র ১৪ ম্যাচে ছিলেন ব্রাজিলের ডাগ আউটে। দ্বিতীয় দফায় আবার ফেরেন ১৯৯১ সালে। সেবার পূরণ করেন ব্রাজিলিয়ানদের চাহিদা। ২৪ বছর পর ব্রাজিলে ফেরান বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ।
তৃতীয় দফায় ব্রাজিলের কোচ হন ২০০৩ সালে। লুইস ফেলিপে স্কলারির অধীনে পঞ্চম বিশ্বকাপ জেতার পর তার মিশন ছিল ‘হেক্সা’র। তবে ২০০৬ বিশ্বকাপে পারেননি পাহেইরা। জার্মানির বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালেই থামে তার ব্রাজিল। ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়ান। তবে কোচিং চালিয়ে গেছেন। অতঃপর ২০১০ সালের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি টানেন কোচিং জীবনের।
তবে ফুটবল থেকে পুরোপুরি সরে যাননি। গত বছরও যেমন ফিফা কোর্সে বক্তৃতা দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ।