রাফায়েল নাদাল একবার বলেছিলেন, ‘‘রোঁলা গারোয় জিতলে আপনি খুশি হবেন কিন্তু এই শিরোপা আপনাকে অনেক ভোগাবে।’’
এবারের দুই ফাইনালিস্ট কার্লোস আলকারাজ আর আলেক্সান্ডার জভেরেভও ব্যাপারটা বুঝেছেন ভালোভাবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে দুজনই হয়েছেন বিধ্বস্ত। শেষ পর্যন্ত পাঁচ সেটের মহাকাব্যিক ফাইনাল শেষে বাজিমাত আলকারাজের। জভেরেভকে ৬-৩, ২-৬,৫-৭,৬-১, ৬-২ গেমে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন রাজা নাদালের উত্তরসূরি আলকারাজ।
গতবারের সেমিফাইনালে চোটের জন্য নোভাক জোকোভিচের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আলকারাজ। এবারও শেষ চারে চোটে পড়েছিলেন ইয়ানিক সিনারের বিপক্ষে। সেই বাঁধা পার হন দৃঢ় মানসিকতাতেই। আজ প্যারিসের রোঁলা গারোর ফাইনালটাও জিতলেন পাঁচ সেটে।
জভেরেভ দুই বছর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে পড়েছিলেন ইনজুরিতে। গোঁড়ালির তিনটা লিগাম্যান্ট ছেঁড়ায় করতে হয় অস্ত্রোপচার। ২০২০ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে মাত্র ২ পয়েন্টের জন্য পাননি শিরোপার দেখা। সেই জভেরেভ ফ্রেঞ্চ ওপেনে টানা চার বার সেমিফাইনাল খেলে এবারই প্রথম পান ফাইনালের টিকিট। তবে স্মরণীয় করতে পারেননি সেটা।
এ নিয়ে গত সাড়ে তিন বছরে ১০বার মুখোমুখি হয়ে আলকারাজ জিতলেন ৬ আর জভেরভ ৪ বার। ক্লে কোর্ট এর লড়াইয়ে আলকারাজ এগিয়ে ৩-১’এ। ক্লেতে জভেরেভের সমান ৮টি শিরোপা আলকারাজেরও।
র্যাঙ্কিয়ে আলকারাজ ৩ আর জভেরেভ আছেন ৪-এ। তবে আলকারাজের যেখানে গ্র্যান্ড স্লাম ছিল ২টি, সেখানে জভেরেভের ০। এটাই ছিল পার্থক্য। সেই পার্থক্যটা আরও বাড়িয়ে নিলেন আলকারাজ। তার গ্র্যান্ড স্লাম এখন ৩টি। এমনিই তো নতুন নাদাল বলা হচ্ছে না এই তরুণকে।