এমপক্স মোকাবেলায় বিমানবন্দরে সতর্কতা জারির দুদিন পর সতর্কতার আওতায় এল চট্টগ্রাম বন্দরও। এর অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আসা জাহাজ বন্দরে প্রবেশের সময় এবং বহির্নোঙরে জাহাজ থামানোর আগে ক্রুদের কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত কি না বা সন্দেহভাজন মনে হলে সেসব তথ্য জানাতে বলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করা ভাইরাস এমপক্স যাতে জাহাজের ক্রুদের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে নাবিকদের বন্দর জেটি বা জেটি থেকে উপকূলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এসব জাহাজ চালানোর দায়িত্বে থাকে বিদেশিরা।
এছাড়া সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ দেশে প্রবেশের সময় আফ্রিকাসহ অন্য মহাদেশের নাবিকরা বাংলাদেশমুখী জাহাজে ওঠে। তাদের কেউ এমপক্সে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশে তা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়ে যায়।
এই আশঙ্কা থেকেই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ সব নৌপথে সতকর্তা জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও চট্টগ্রাম বন্দরে এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেসময় বন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। এমপক্স রোধেও এমন একটি দল বন্দরে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার এমপক্সের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। আক্রান্তদের শনাক্তে বসানো হয় থার্মাল স্ক্যানার।