দাম্পত্যসঙ্গী ছাড়াই এক জীবন কাটিয়ে গেলেন রতন টাটা; এনিয়ে খেদ ছিল না, বলে গিয়েছিলেন নিজেই। কিন্তু কখনও প্রেম কি এসেছিল তার জীবনে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সামনে আসে সিমি গারেওয়ালের নাম।
বুধবার রতন টাটার মৃত্যুর পর সিমি গারেওয়াল শোক জানিয়েছেন; ‘বন্ধু’ হিসাবে চিরবিদায় জানিয়েছেন। তবে গত শতকের ষাটের দশকে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জনের কথা জানাল আনন্দবাজার পত্রিকা।
দুজনে দুজনার কাছাকাছি এসেছিলেন, এমন দাবির পক্ষে সিমির সাক্ষাৎকারের কথা আসে সংবাদমাধ্যমে। বিভিন্ন সময় রতন টাটাকে প্রশংসায়ও ভাসিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
সিমি গারেওয়ালের বলিউড অভিষেক ১৯৬২ সালে, ‘রাজ কি বাত সিনেমা’ দিয়ে। তবে তার বড় খ্যাতি ‘মেরে নাম জোকার’ ও ‘সিদ্ধার্থ’ সিনেমার কারণে।
রতন টাটার সঙ্গে সিমির সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৭০ সালে রবি মোহনকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। তবে নয় বছর পরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
সিমির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বরাবরই ছিল রতন টাটার। এই অভিনেত্রী যে টকশো করতেন, সেই ‘রদেঁভু উইথ সিমি গারেওয়াল’ এও অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি।
রতন টাটার মৃত্যু সংবাদে সিমি গারেওয়াল তার এক্স একাউন্ট থেকে জানিয়েছেন শোক। দুজনের কোলাজ ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- “তারা বলে তুমি চলে গেছ…তোমায় হারানোর শোক বইতে পারা খুব কঠিন…বিদায় বন্ধু।”
শিল্পোদ্যোক্তা রতন টাটা ৮৭ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়েছেন। বিত্ত-বৈভবের মধ্যে থেকেও সাধারণ জীবনযাপনের জন্য তিনি ছিলেন ভারতীয়দের আলোচনার বিষয়।
সেই সঙ্গে আলোচনার বিষয় ছিল, এমন কী ঘটেছিল রতন টাটার জীবনে যে তিনি বিয়েই করলেন না।
এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনেও প্রেম এসেছিল। চারবার বিয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা পূণর্তা পায়নি।
“যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কখনও প্রেমে পড়েছি কি না? তবে আমি আপনাকে বলব যে, বিয়ে করার বিষয়ে আমি চারবার গুরুত্ব সহকারে ভেবেছিলাম এবং প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছিলাম।”
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক নারীর প্রতি গভীর প্রেম ছিল রতন টাটার। কাজের সুবাদে আমেরিকায় বসবাসের সময় ওই নারীর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। স্বল্প সময়ের সেই প্রেমে তিনি ঠিক করেছিলেন, বিয়ে করলে এই নারীকেই করবেন। কিন্তু রতন টাটার সঙ্গে ভারতে যেতে রাজি না হওয়ায় সে সম্পর্ক আর টেকেনি।
এক সাক্ষাৎকারে সিমি গারেওয়ালও বলেছিলেন, বিদেশে অবস্থানের সময় রতনকে যেমন চিন্তামুক্ত দেখায়, দেশে ফিরলে নাকি তেমন দেখায় না।
পরে আর বিয়ের কথা ভাবেননি রতন টাটা। সমস্ত মনযোগ ঢেলে দেন টাটা গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে।
তার মতে, বিয়ে করলে নাকি পরিস্থিতি তার জন্য খুব জটিল হয়ে যেত।